দশেরায় পাটনার গান্ধী ময়দানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩২, আহত বহু
বারণ বধ দেখতে প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ জড়ো হয়েছিল গান্ধী ময়দানে। বারণ বধের পর সরু এক্সিবিশন রোড দিয়ে দর্শনার্থীরা ফিরছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায় সন্ধ্যে সাড়ে ছটা নাগাদ দুই ব্যক্তি রটিয়ে দেয় যে বিদ্য়ুতের তার ছিঁড়ে মাটিতে পড়েছে। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় ছুটোছুটি শুরু করে দেন সকলেই। একইসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, গান্ধী ময়দানের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। অন্ধকারের মধ্যে প্রাণ বাঁচাতে লোকজন হুড়োহুড়ি শুরু করাতেই বিপত্তি।
অনেকেই অবশ্য এই ঘটনার জন্য দায়ী করেছে জেলা পুলিশকে। তাদের অভিযোগ, জেলা পুলিশ গান্ধী ময়দানের বেশির ভাগ বাহির দ্বার বন্ধ করে রেখেছিল। ফলে খোলা দ্বারগুলিতে প্রচণ্ড চাপের সৃষ্টি হয়। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী জিতনরাম মঞ্ঝিও।
যদিও প্রশাসনের তরফে এবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হচ্ছে। এদিকে পাটনা মেডিক্যাল কলেজে আত্মীয়দের খুঁজতে এসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন বেশ কিছু আহতদের বাড়ির লোক।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এবিষয়ে কথা বলেছেন। এবং রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এই ঘটনার সরকারি রিপোর্ট তলব করেছেন। মৃতদের পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রী ২ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
উল্লেখ্য এই গান্ধী ময়দানেই নির্বাচনী প্রচারের সময় নরেন্দ্র মোদীর সভার আগে বিস্ফোরণ হয়। এছাড়াও দু'বছর আগে আদালা ঘাটে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ২২ জনের। বিজেপি নেতা এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন. আদালা ঘাটের দুর্ঘটনা থেকে প্রশাসনের শিক্ষা নেওয়া উচিত। দশেরা উপলক্ষে আরও বিশেষ ব্যবস্থা করা উচিত ছিল সরকারের।
এই ঘটনার জেলা প্রশাসন ০৬১২-২২২১৯৮১০ (0612-22219810)এবং ৯৪৩১৮০০৬৭৫ (৯৪৩১৮০০৬৭৫) দুটি ডিরেক্ট লাইন ফোন নম্বর হেল্প লাইন হিসাবে খুলেছেন। কারোর এই মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে কোনও তথ্য চাইলে এখানে ফোন করে জানতে পারবেন।