সরকারি হাসপাতালে পাঁচ দিনে ৬৩ শিশুর মৃত্যুর দায় কার, উঠছে প্রশ্ন
গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে সবমিলিয়ে পাঁচদিনে মোট ৬৩জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। কেন এত শিশু হঠাৎ করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার দায় কার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় গোরক্ষপুরের সরকারি হাসপাতালে ৩২জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বাবা রাঘব দাস মেডিক্যাল কলেজে। সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ১৭জন শিশু নিও-ন্যাটাল ওয়ার্ডে, পাঁচটি শিশু অ্যাকিউট এনকেফেলাইটিস সিনড্রোম ওয়ার্ডে ও আটটি শিশু জেনারেল ওয়ার্ডে মারা গিয়েছে। শনিবার সকালে আরও ২টি শিশুমৃত্যুর খবর জানিয়েছে সংবাদসংস্থা এএনআই। ফলে ২দিনে মোট ৩২জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
[আরও পড়ুন:মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কেন্দ্রে অক্সিজেনের অভাবে ৩০টি শিশু মৃত্যুর অভিযোগ]
পাশাপাশি সবমিলিয়ে পাঁচদিনে মোট ৬৩জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে এই হাসপাতালে। কেন এত শিশু হঠাৎ করে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একদিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। তবে এই ঘটনার দায় কার তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। এই হাসপাতালটি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের এলাকায় পড়ে। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর এলাকাতেই এই ঔদাসীন্যতে ছিঃ ছিঃ রব পড়ে গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গুরুতর অসুস্থ শিশুদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর অক্সিজেনের সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। হাসপাতালে যে সংস্থা অক্সিজেন সরবরাহ করে, তাদের ঠিক সময়ে বিল না মেটানোয় সংস্থাটি অক্সিজেন সরবরাহ করতে দেরি করেছে। আর তারই পরিণতিতে মৃত্যু হয়েছে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা ৩২টি শিশুর। বাকী শিশুরা রোগে মারা গিয়েছে নাকি সরকারি অপদার্থতার শিকার, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অক্সিজেনের কোনও অভাব হয়নি। সেই কারণে শিশুরা মারা যায়নি। বাড়তি সিলিন্ডার মজুত ছিল। এনকেফেলাইটিসের সময়ে দিনে ৬-৮জন শিশু প্রতিদিন মারা যায়। সেই সংখ্যাটাই এত বেশিতে পৌঁছে গিয়েছে বলে সাফাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।
তবে ঘটনা হল, বারবার অক্সিজেন সরবরাহকারী সংস্থার তরফে বকেয়া ৬৩ লক্ষ টাকা মেটানোর কথা জানানো হয়। এই নিয়ে চিঠিও দেওয়া হয়। তা সত্ত্বেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হুঁশ ফেরেনি। ফলে ধীরে ধীরে অক্সিজেন সাপ্লাই কমিয়ে নিতে থাকে সরবরাহকারী সংস্থা। যার পরিণতিতেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করা হচ্ছে।