এক-আধটা নয়, ৩১টি পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল দেশের বুক থেকে! রিপোর্টে চাঞ্চল্য
আস্ত পাহাড়ই হারিয়ে গেল দেশের মানচিত্র থেকে! তাও আবার এক-আধটা পাহাড় নয়। দেশের বুক থেকে ৩১টি পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে।
আস্ত পাহাড়ই হারিয়ে গেল দেশের মানচিত্র থেকে! তাও আবার এক-আধটা পাহাড় নয়। দেশের বুক থেকে ৩১টি পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। শুনলে অবাস্তব মনে হলেও, সম্প্রতি এই ধ্রুব সত্য সামনে এসেছে সুপ্রিম কোর্টের রিপোর্টে। সুপ্রিম কোর্টের এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্টেই জানা গিয়েছে রাজস্থানের আরাবল্লী পর্বতমালার ৩১টি পর্বতের কোনও অস্তিত্ব নেই এখন।
কিন্তু ৩১টি পাহাড় কীভাবে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল? কীভাবে সম্ভব হল এই অবাস্তর কাণ্ডকারখানা? নিছকই প্রকৃতির খেয়াল নয়, মানুষই দায়ী এই পর্বত ভ্যানিস হয়ে যাওয়ার পিছনে। শীর্ষ আদালতে পেশ হওয়া সেন্ট্রাল এমপাওয়ার্ড কমিটির রিপোর্ট অনুসারে ফরেস্ট সার্বে অফ ইন্ডিয়ার সংগৃহীত ১২৮টি নমুনা থেকে স্পষ্ট হয়েছে ৩১টি পর্বত উধাও হয়ে যাওয়ার কারণ।
সুপ্রিম কোর্ট উদ্বেগ প্রকাশ করে জানিয়েছে, বেআইনি খননই পর্বত উধাও হওয়ার জন্য দায়ী। অবিলম্বে আরাবল্লী পর্বতমালা সংলগ্ন ১১৫ হেক্টর এলাকায় বেআইনি খনন বন্ধ করতে হবে। বিচারপতি মদন বি লেকুর ও বিচারপতি দীপক গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, আরাবল্লীর খননকার্য থেকে রাজস্থান সরকার ৫ হাজার কোটি রয়্যালটি পায়।
আদালত প্রশ্ন তোলে, কিন্তু তার জন্য লাখো লাখো বাসিন্দার জীবন বিপন্ন হতে পারে না। অথচ রাজধানী দিল্লির বুকে এমনই ঘটনা ঘটে চলেছে পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার কারণে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এভাবে একের পর এক পাহাড় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়া দিল্লির দূষণের অন্যতম কারণ। এই মর্মে আদালত জানতে চায়, বেআইনি খনন আটকাতে রাজ্য সরকার কী কী উদ্যোগ নিয়েছে?
কীভাবে দিল্লির দূষণে প্রভাব ফেলেছে পাহাড়ের 'নিখোঁজ' হয়ে যাওয়া? বিচারপতিদ্বয় জানান, পাহাড় বাঁধের কাজ করে। সেই পাহাড়ই উধাও হয়ে য়াওয়ায় রাজধানী নিকটবর্তী এলাকা দূষণের গ্রাসে চলে যাচ্ছে। এক রাজ্যের স্বার্থের দেশের রাজধানীর জনজীবনই বিপন্ন হয়ে যেতে বসেছে। এই কারণে দিল্লির মানুষের স্বাস্থ্যখাতে দশগুণ বেশি খরচ হচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করে সু্প্রিম কোর্ট।