রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পরে পাঁচকুলায় ধুন্ধুমার, নিহত ৩১, আহত ২০০
স্বঘোষিত গুরু গুরমিত রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর একেরপর এক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিয়ানার পাঁচকুলা। বিক্ষোভ ও হিংসা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুলিশ ও আধাসেনার সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বঘোষিত গুরু গুরমিত রাম রহিমের সাজা ঘোষণার পর একেরপর এক হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল হরিয়ানার পাঁচকুলা। বিক্ষোভ ও হিংসা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পুলিশ ও আধাসেনার সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৫০ জনের বেশি মানুষ। এর মধ্যে ২৮ জন নিহত হয়েছেন পাঁচকুলায়, তিন জন সিরসায়।
শুক্রবার দুপুর তিনটের সময় পনেরো বছর পুরনো ধর্ষণের মামলায় গুরমিত রাম রহিমের সাজা ঘোষণা করে আদালত। তারপরই দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাঁচকুলা। একের পর এক বাস, সংবাদমাধ্যমের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় রাম রহিমের সমর্থকেরা। হরিয়ানার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, পাঞ্জাব ও রাজস্থানেও ঘটনার আঁচ লক্ষ্য করা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন : ভোটের লোভে হাত গুটিয়ে থাকল খট্টর সরকার, বিক্ষোভে জ্বলল হরিয়ানা]
তার আগে শুক্রবার সকাল থেকেই গুরমিত রাম রহিমের ভক্তরা দলে দলে পাঁচকুলায় এসে হাজির হয়। হাজার নয়, লাখের ঘরে ছিল ভক্তের সংখ্যা। এলাকায় জারি ছিল ১৪৪ ধারা। ১৭৭ কোম্পানি আধাসেনাও পাঠানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও হরিয়ানার মনোহর লাল খট্টরের সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
দুপুরের দিকে প্রায় ২০০ গাড়ির কনভয় নিয়ে আদালত চত্বরে যায় গুরমিত রাম রহিম। তাকে ভিতরে ঢুকিয়ে নিয়ে পরে সাজা ঘোষণা করে আদালত। সেই খবর বাইরে পৌঁছতেই ভক্তদের তাণ্ডব শুরু হয়। শেষপর্যন্ত সামাল না দিতে পেরে গুলি চালায় পুলিশ।
দুই শিষ্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে গুরমিত রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। আগামী ২৮ তারিখ সাজা ঘোষণা হবে। কমপক্ষে ৭ বছরের জেল হবে গুরমিতের। এদিকে হরিয়ানায় তাণ্ডবে যে সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে তা ডেরা সাচা প্রধানের সম্পত্তি নিলামে বিক্রি করে ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।