'৩০০টি মোবাইল কি গাছে ঝুলছিল!', 'বালাকোট' বিতর্কে বিরোধীদের কড়া আক্রমণ রাজনাথের
বালাকোটে হামলার আগের মুহূর্তে ৩০০টি মোবাইল সংযোগ অ্যাক্টিভ ছিল। এই তথ্য সামনে আসার পরই কেন্দ্র সরকার একেবারে ফ্রন্টফুটে থেকে বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়েছে।
পুলওয়ামা হামলার বদলা নিতে গত মাসের ২৬ তারিখে পাকিস্তানের বালাকোট, চাকোতি ও মুজফফরাবাদে ভারতীয় বায়ুসেনা হামলা চালায়। সেই হামলায় বোমা ফেলে উড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি ঘাঁটি। চাকোতি ও মুজফফরাবাদে হামলা হলেও খবরের শিরোনামে বারবার উঠে এসেছে বালাকোটের নাম। কারণ এখানেই জইশের আসল প্রশিক্ষণের ঘাঁটি ছিল। এই জঙ্গি ঘাঁটিতে কতজন জঙ্গি ছিল বা কতজনই বা মারা গিয়েছে তা জল্পনা চলছিল। তবে ন্যাশনাল টেকনিক্যাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন বা এনটিআরও-র মাধ্যমে প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে জানা গিয়েছে, বালাকোটে হামলার আগের মুহূর্তে ৩০০টি মোবাইল সংযোগ অ্যাক্টিভ ছিল।
এই তথ্য সামনে আসার পরই কেন্দ্র সরকার একেবারে ফ্রন্টফুটে থেকে বিরোধীদের আক্রমণ শানিয়েছে। হামলার পর কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিং সিধু সহ অনেকেই দাবি করেন, পাকিস্তানে হামলা চালিয়ে কয়েকটি গাছের ক্ষতি ছাড়া কিছুই হয়নি। এমনই খবর তাদের কানে এসেছে বা রিপোর্ট পড়েছেন। যে প্রসঙ্গে এনটিআর-ওর রিপোর্ট সামনে রেখে রাজনাথ সিংয়ের কটাক্ষ, বিরোধীরা বালাকোটে গিয়ে দেখে আসুক।
রাজনাথের কথায়, এতগুলি মোবাইল ফোন সক্রিয় থাকার ফলে ধরে নেওয়া যেতে পারে এই ক্যাম্পে কতজন জঙ্গি থাকতে পারে। পাকিস্তান সরকার জানে কতজন জঙ্গি মারা গিয়েছে। ৩০০টি মোবাইল কি গাছে ঝুলছিল? পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, জাতীয় নিরাপত্তা আধিকারিক অজিত ডোভালের নেতৃত্বে কাজ করা এনটিআরও আগে থেকেই এই এলাকায় নজরদারি চালাচ্ছিল। কেন্দ্র বায়ুসেনাকে হামলার ছাড়পত্র দেওয়ার পর থেকেই বালাকোটের জইশ ঘাঁটি নজরদারিতে ছিল। তারপরই সুযোগ বুঝে ভারত হামলা চালিয়েছে।