ফাইল ক্লিয়ারে ৩০০ কোটি ঘুষ! সত্যপালকে জেরা সিবিআইয়ের
অস্বস্তি বাড়ল সত্যপাল মালিকের। জম্মু-কাশ্মীর-মেঘালয় সহ একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সেই সত্যপাল মালিককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন
CBI questioned Satya Pal Malik: অস্বস্তি বাড়ল সত্যপাল মালিকের। জম্মু-কাশ্মীর-মেঘালয় সহ একাধিক রাজ্যের রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সেই সত্যপাল মালিককে দীর্ঘক্ষণ জেরা করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন একটি মামলাতে নাম জড়ায় মালিকের।
দুটি ফাইলে ছাড়পত্র দিতে নাকি ৩০০ কোটি টাকার ঘুষের প্রস্তাব পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছিলেন সত্যপাল। আর এহেন দাবি ঘিরে রাজ্য-রাজনীতিতে একেবারে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল।
বলে রাখা প্রয়োজন, রাজস্থানে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করেছিলেন তৎকালীন জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল মালিক। মোদি ঘনিষ্ঠ এক শিল্পগোষ্ঠী ও আরএসএস ঘনিষ্ঠ এক নেতার দুটি ফাইলের ছাড়পত্র দেওয়ার কথা নাকি বলা হয়েছিল।
এই তিথ্য সামনে আসার পরেই শুরু হয় জোর রাজনৈতিক চর্চা। যদিও সত্যপাল সেই ঘুষ বা প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন। এমনকি বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও জানিয়েছিলেন বলে ওই অনুষ্ঠানে জানিয়েছিলেন মালিক। আর এহেন দাবি ঘিরে চরম অস্বস্তিতে পড়ে যায় বিজেপি। এমনকি আরএসএসের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রভাব খাটানোর বিষয়টি সামনে আসে।
যদিও পরবর্তীকালে বিষয়টি নিয়ে একেবারে ইউ টটার্ন নিয়ে নেন সত্যপাল মালিক। মোদী ঘনিষ্ঠ ব্যাবসায়ী আম্বানি এবং আরএসএস ঘনিষ্ঠ এক নেতা কোনও প্রস্তাব তাঁকে দেয়নি বলেও দাবি করেন। এমনকি এই বিষয়ে আরএসএসের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নেন। এর সঙ্গে আরএসএসের কোনও যোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন মালিক।
যদিও পরবর্তীকালে দুটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ সামনে আসে। মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এমনকি এই বিষয়ে একাধিক জায়গাতে তল্লাশিও চালান তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। আর সেই সুত্র ধরেই আজ মেঘালয়ের রাজ্যপালকে দীর্ঘক্ষণ জেরা করলেন সিবিআই আধিকারিকরা।
অভিযোগগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানতেই এই জেরা বলে জানানো হয়েছে সিবিআইয়ের তরফে। শুধু তাই নয়, যেহেতু একটা সময়ে এই বিষয়ে রাজ্যপাল নিজে অভিযোগ করেছিলেন সেই কারণে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করা হয়েছে বলেও সিবিআই সূত্রে দাবি। জানা যাচ্ছে, অনিয়মের সূত্রে পৌঁছতে সাক্ষী হিসেবেই সিবিআই দফতরে মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলেও দাবি কেন্দ্রীয় এই গোয়েন্দা সংস্থার।