খুন হলেন ১ জন, আটক হলেন ৩০, গুজবের মূল কারবারিরা অধরাই
বিদার জেলায় গণপ্রহারে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় কর্নাটক পুলিশ বিদার জেলা থেকে ৩০ জনকে গ্রেফতার করেছে।
কর্ণাটকের বিদারে গণহত্যার ঘটনায় ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত শুক্রবার আউরাজ তালুকের মুরকিগ্রামে হায়দরাবাদের এক সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে পিটিয়ে মারে গ্রামবাসীরা। তার আরও তিন সঙ্গী গুরুতর আহত হন।
সম্প্রতি ওই এলাকায় একদল শিশু পাচারকারি ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে খবর রটেছিল ওই এলাকায় খবর ছড়ানো হয়েছিল একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের মাধ্যমে। যার জেরেই ওই ৪ যুবককে শিশু অপহরণকারী হিসেবে সন্দেহ করে গ্রামবাসীরা। আক করা হয়েছে সেই হোয়াট্সঅ্যাপ গ্রুপের অ্যাডমিনেস্ট্রেটরকে।
জানা গিয়েছে ওই ৪ জনের একজন মহম্মদ বশিরের আদিবাড়ি কর্ণাটকের হান্দিকেরা গ্রামে। বন্ধু মহম্মদ আজম, তালহা ইসমাইল ও মহম্মদ সালমানকে নিয়ে সেখানেই যাচ্ছিলেন বশির। পথে বালকুত তান্দায় দাঁড়িয়েছিলেন। ইসমাইল সম্প্রতি কাতার থেকে ফিরেছেন। তিনি স্থানীয় শিশুদের চকলেট দিতে যান। সেসময় স্থানীয় একজন তাদের ছবি তুলে ওই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে দিয়ে দেয়। মুহূর্তে এলাকায় জড়ো হয়েগিয়েছিল বহু গ্রামবাসী। যে ওই ছবি পাঠিয়েছিল পুলিশ তাকেও আটক করেছএ।
পুলিশ সুপার ডি দেবরাজ জানিয়েছেন, শুক্রবারের ঘটনা একটি ভিডিও ক্লিপ তাঁদের হাতে এসেছে। সেই ভিডিও দেখেই দোষীদের শনাক্ত করা হয়েছে এবং গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন ঘটনার দিন পুলিশ সময়মতো এলাকায় না পৌঁছলে বাকি তিনজনকেও বাঁচানো যেত না। তাদের রক্ষা করতে গিয়ে অন্তত ১০ পুলিশ কর্মীও আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
একের পর এক এই ধরনের সন্দেহের বশে পিটিয়ে খুনের ঘটনা ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে ঘটেই চলেছে। হোয়াট্স অ্যাপে গুজব রটার থেকেই এই ঘটনা ঘটছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থার পক্ষ থেকেও গুজব, ভূয়ো খবর ছড়ানো আটকাতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। গোটা দেশ জুড়েই পুলিশ এই গুজবের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ানোর তেষ্টা করছে। সেই সঙ্গে গুজব যারা ছড়াচ্ছে সেই উৎসে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে যে এখনও কোনও কাজ হয়নি এই ঘটনাই তার প্রমাণ।