সিআরপিএফ প্রত্যাহারের দিনেই উত্তপ্ত কাশ্মীর! ২৪ ঘণ্টায় ৪টি অপারেশন, খতম ৩ জঙ্গি
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ১০০ কোম্পানি আধাসেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। এই অঞ্চলে সুরক্ষা সংক্রান্ত একটি পর্যালোচনা শেষে বুধবার এই সিদ্ধান্ত নেয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর এরই মাঝে গত ২৪ ঘণ্টায় চারটি পৃথক অপারেশন সংগঠিত হয় উপত্যকায়। এর জেরে সেখানে খতম হয় তিনজন জঙ্গি। অস্ত্র সহ গ্রেফতার হয় আরও ৭ জঙ্গি।
হান্ডওয়ারাতে এক এনকাউন্টারে খতম হয় ২ জঙ্গি
বুধবার সন্ধ্যাবেলায় কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্ডওয়ারাতে এক এনকাউন্টারে খতম হয় ২ জঙ্গি। মৃত জঙ্গিরা লস্কর-ই-তৈবার বলে জানা গিয়েছে। মৃতদের একজন টপ লস্কর কমান্ডার বলে জানা গিয়েছে। নাম নাসিরউদ্দিন লোন। এদিকে বুধবার কাশ্মীরের সোপিয়ানে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের জঙ্গিকে নিকেশ করে সেনা। দক্ষিণ কাশ্মীরের চিত্রগাম গ্রামে জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে বলে সেনা খবর পেয়েই অভিযান চালায়। যার পর সাফল্য পায় ভারতীয় সেনা।
সোপিয়ানে ধৃত ৪ জঙ্গি
এদিকে সোপিয়ানেই অপর একটি অপারেশনে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। সেখানে যৌথ বাহিনীর তল্লাশিতে ধরা পড়ল চার জঙ্গি। পাশাপাশি জঙ্গিদের আস্তানা থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র, বন্দুক, বোম ইত্যাদি। পুলিশ জানিয়েছে ধৃত জঙ্গিদের নাম সাজাদ আহমেদ ধোবি, ইমতিয়াজ আহমেদ, পারভেজ আহমেদ, শহিদ মনজুর।
শ্রীনগরে গ্রেফতার তিন জঙ্গি
এদিকে অপর এক ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ ও সিআরপিএফ যৌথ অভিযান চালিয়ে শ্রীনগরের নাতিপোরা থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে। তিনটি বাড়ি থেকে এই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার হয়। ওই তিন বাড়ির মালিক ইসমাইল পারায়, জাভেদ পারায় ও হিলাল পারায়কে আটক করেছে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত কাশ্মীর
দু'দিন আগেই উত্তর কাশ্মীরের বারামুল্লায় পুলিশ ও সিআরপিএফ-এর উপর হামলা চালায় জঙ্গিরা। জঙ্গিদের গুলিতে এক পুলিশকর্মী ও আরও দুই সিআরপিএফ জওয়ান শহিদ হন। তিন জইশ জঙ্গিরও মৃত্যু হয়। এর পাঁচ দিন আগে শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় জঙ্গি হামলায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের দুই কর্মীর মৃত্যু হয়।
১০ হাজার জওয়ান প্রত্যাহারের নির্দেশ
এদিকে গত বছর অগাস্টে জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বাতিল করার পর সেখানে প্রচুর সংখ্যক নিযুক্ত করা হয়৷ আজকের পর্যালোচনা শেষে জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়, অবিলম্বে ১০০ কম্পানি আধাসেনা ওই এলাকা থেকে প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷ ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় ওই জওয়ানরা যে যে জায়গা থেকে এসেছিলেন, তাঁদের সেই সেই জায়গায় ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উপত্যকায় আর কতজন জওয়ান মোতায়েন থাকবে?
একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে কমবেশি ১০০ জন জওয়ান থাকেন। গত মে মাসে জম্মু-কাশ্মীর থেকে প্রায় ১০টি সিএপিএফ কম্পানি প্রত্যাহার করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মন্ত্রকের নির্দেশ অনুযায়ী, এই সপ্তাহের মধ্যেই সেন্ট্রাল রিজ়ার্ভ পুলিশ ফোর্সের মোট ৪০ কম্পানি এবং বিএসএফ, সিআইএসএফ এবং এসএসবির প্রতিটির ২০ কম্পানি তুলে নেওয়া হবে জম্মু-কাশ্মীর থেকে। এই বাহিনী প্রত্যাহারের সঙ্গে সঙ্গেই অন্য সিএপিএফ কর্মীদের খুব কম ইউনিট ছাড়াও কাশ্মীর উপত্যকায় সিএপিএফ-এর ৬০ ব্যাটেলিয়ন (প্রতিটি ব্যাটেলিয়নে প্রায় এক হাজার জওয়ান) মোতায়েন থাকবে।
দায়িত্বে ফিরছেন রাহুল গান্ধী? প্রিয়াঙ্কার 'অ-গান্ধী সভাপতি' ভিডিও নিয়ে কংগ্রেসের সাফাইতে জল্পনা