অভিশপ্ত '৩'-এর গেরোয় মুন্ডে-মহাজন পরিবার
৩ মে, ২০০৬ : প্রমোদ মহাজনের মৃত্যু
প্রায় ৮ বছর আগে ২০০৬ সালের ২২ এপ্রিল নিজের ভাই প্রবীনের গুলিতে গুরুতর জখম হন বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজন। মুম্বইয়ের ওরলিতে নিজের বাড়িতেই ছিলেন প্রমোদ মহাজন। সেই সময় রাজনৈতিক জীবনের শীর্ষে উঠেছিলেন তিনি। ১৩ দিনের কঠিন জীবনের লড়াই শেষে ২০০৬ সালের ৩ মে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।
অটল বিহারি বাজপেয়ীর আমলে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। শিবসেনা-বিজেপির জোটের পুরোধা বলা হয় প্রমোদ মহাজনকে।
৩ মার্চ, ২০১০ : প্রবীন মহাজনের মৃত্যু
বিজেপির জনপ্রিয় নেতা তথা নিজের দাদা প্রমোদ মহাজনকে গুলি করে খুনের দায় ২০০৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর আদালত প্রবীন মহাজনকে যাবজ্জীবনের আদেশ দেয়। জেলে থাকাকালীন ২০১০ সালে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়ে জুপিটার হাসপাতালে মৃত্যু হয় প্রবীনের। তারিখটা ছিল সেই '৩'। ৩ মার্চ, ২০১০।
৩ জুন, ২০১৪ : গোপীনাথ মুন্ডের মৃত্যু
মঙ্গলবার দিল্লি বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী গোপীনাথ মুণ্ডের। একটি ইন্ডিকা গাড়ি তাঁর মারুতি এসএক্স৪ গাড়িতে এসে ধাক্কা মারে। মারুতির একটা অংশ একটু তুবড়ে গেলেও স্বভাবত এইধরণের দুর্ঘটনায় প্রাণ যাওয়ার কথা নয়।
কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী, দুর্ঘটনার জেরে মুন্ডের যকৃত ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাঁর শরীর থেকে প্রায় ২ লিটার রক্ত বেরিয়ে গিয়েছে। এর পরেই হৃদযন্ত্র বন্ধ হয়ে যায় মুন্ডের। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরে যে ক্ষত ছিল তা মৃত্যুর কারণ হতে পারে না।
কলেজ জীবনে বিজেপি নেতা প্রমোদ মহাজনের সঙ্গে দেখা হয় মুন্ডের। তাঁর অনুপ্রেরণাতেউ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদে যোগ দিয়েছিলেন তরুণ গোপীনাথ মুন্ডে। পরবর্তীকালে মহাজন মুন্ডের বন্ধুত্ব আত্মীয়তায় বদলে যায়। মহাজনের বোন প্রদন্যাকে বিয়ে করেন মুন্ডে।