উদ্ধারের ১৮ তম দিন! পাওয়া গেল ৩ টি হেলমেট, এখনও নিখোঁজ ১৩ খনিকর্মী
মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের কয়লা খনিতে আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজের ১৮ তম দিনে তিনটি হেলমেট উদ্ধার করা গেলেও, এখনও নিখোঁজ ১৩ জনের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেঘালয়ের পূর্ব জয়ন্তিয়া পাহাড়ের কয়লা খনিতে আটকে পড়া কর্মীদের উদ্ধারে অভিযান জোরদার করা হয়েছে। উদ্ধার কাজের ১৮ তম দিনে তিনটি হেলমেট উদ্ধার করা গেলেও, এখনও নিখোঁজ ১৩ জনের কারও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
মেঘালয়ে চলছে উদ্ধার কাজ
মেঘালয়ে কসান গ্রামের খনিতে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাউকেই উদ্ধার করা যায়নি। ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি দল এই উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়েছে। উদ্ধারকাজকে জোরদার করতে ২১ এনডিআরএফ কর্মী এবং ১০ টি উচ্চশক্তির পাম্প নিয়ে যাওয়া হয়েছে। উদ্ধার কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওড়িশা ফায়ার সার্ভিসের প্রধান সুকান্ত শেঠি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুরোধের পর ওড়িশা থেকে বিশেষ দল পাঠানো হয় মেঘালয়ে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং উদ্ধার কাজ নিয়ে মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
|
উদ্ধার কাজে এনডিআরএফ
১৩ ডিসেম্বর ৩২০ ফুট গভীর অবৈধ 'রাত হলে' খনিতে আটকে পড়ে ১৩ জন শ্রমিক। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স, রাজ্যের ডিজাস্টার রেসপন্স টিম, সিভিল ডিফেন্সের কর্মী-সহ উদ্ধার কাজে হাত লাগান বহু কর্মী। কাজ করছেন এনডিআরএফ কর্মীরা।
|
ডিসেম্বরের শুরুর দিকে অবৈধ উত্তোলন শুরু
স্থানীয় পুলিশ সূত্রে খবর পুরনো এই খনিটিতে অবৈধ ভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয় ডিসেম্বরের প্রথমের দিকে। খনিগুলির নাম 'রাত হলে', কেননা স্থানীয়রা এই খনি খনন করে থাকেন। খুব সরু জায়গার মধ্যে দিয়ে শ্রমিক থেকে শুরু করে কয়লা ওঠানোর কাজ হয়ে থাকে।
মুখ্যমন্ত্রী অবৈধ কয়লাখনির কথা স্বীকার হয়ে নিয়েছেন। এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা।
|
২০১৪-র পর থেকে সরকারিভাবে খনন বন্ধ
খনিতে আটকে পড়া তিন শ্রমিকের মধ্যে তিনজন মেঘালয়ের লুমথারির বাসিন্দা। বাকি দশজন ওয়েস্ট গারো হিল এবং পার্শ্ববর্তী অসমের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।
পরিবেশবিদদের আপত্তির কারণে, ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইবুনাল ২০১৪-র পর থেকে মেঘালয়ে খননের কাজ বন্ধ করে দিয়েছে।
২০১২ সালে মেঘালয়ে খনি জলমগ্ন হওয়ার কারণে কমপক্ষে ১৫ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছিল।
(ছবি সৌজন্য: এএনআই)