লাইনচ্যূত সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ৩টি কামরা জলে ডুবে, বহু যাত্রীর ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা
বিহারের রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ লাইনচ্যূত হওয়া সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি কামরার মধ্যে তিনটি জলে ডুবে রয়েছে।
বিহারের রেল দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ লাইনচ্যূত হওয়া সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি কামরার মধ্যে তিনটি জলে ডুবে রয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে ঠিক তার পাশেই রয়েছে খাল। জানা গিয়েছে এই খালের মধ্যে তিনটি কামরা ছিটকে গিয়ে পড়ে। এই কামরার যাত্রীরা এই মুহূর্তে কে কোন অবস্থায় রয়েছেন তারা জানা যাচ্ছে না। এই তিনটি ডুবে যাওয়া কামরাই স্লিপার ক্লাসের বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই ৭ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় ভয়াবহতা এতটাই মারাত্মক যে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ারই আশঙ্কা করা হচ্ছে। জলে ডুবে থাকা তিনটি কামরা-কে উদ্ধারের জন্য কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা এখনও জানাতে পারেনি রেল কর্তৃপক্ষ।
বিহারের সোনপুর ডিভিশনের সাহাদাই বুজার্গ-এ সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেশ প্রকাশ করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশকুমার। তিনি এই ঘটনায় সব ধরনের সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশাসনকে দুর্ঘটনাস্থলে প্রতিটি মানুষের জন্য় সব ধরনের সেবা প্রদান করার কথাও বলে দিয়েছেন। বিহারের বুকে এই রেল দুর্ঘটনা নিয়ে বিপুল উদ্বেগ ছড়িয়েছে। যে ভাবে ১১ টি কামরা লাইনচ্যূত হয়ে পড়ে রয়েছে তাতে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ারই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সবচেয়ে সমস্যা হয় ভোররাতে দুর্ঘটনা হওয়ায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হয়। স্থানীয় মানুষরাই প্রথমে টর্চের আলো নিয়ে উদ্ধারে নামে।
[আরও পড়ুন:রেল লাইনে ফাঁটলেই লাইনচ্যূত সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস, জানাল রেল, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা ]
রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলও জানিয়েছেন যে ঘটনাস্থলে উদ্ধার কাজ শুরু করা হয়েছে। দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীদের সবধরনের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। রেলে জনসংযোগ আধিকারিকও জানিয়েছেন, আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক তাদের অন্যত্র স্থানান্তর করা হচ্ছে বলেও রেল সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন:সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসে মৃতের সংখ্যা ভয়াবহ আকার নিতে পারে, খালের জলে ডুবে ৩ কমরা]
[আরও পড়ুন:LIVE- সভায় কিছুক্ষণের জন্য আসছেন বুদ্ধদেব! আসছেন না কানহাইয়া কুমার]