উপত্যকায় উত্তেজনা, সেনার গুলিতে নিহত ১ কিশোরী-সহ মোট ৩ অসামরিক ব্যক্তি
কুলগামের রাস্তায় বিক্ষোভকারীদের ওপর সেনাবাহিনীর গুলিচালনায় ১ কিশোরী-সহ ৩ জন অসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
শনিবার আবার সেনা ও স্থানীয়দের সংঘর্ষে প্রাণ গেল ৩ অসামরিক ব্যাক্তির। তার মধ্যে এক কিশোরীও রয়েছে। ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি দুখতরণ-ই-মিলাত প্রধান আসিয়া আন্দ্রাবিকে দিল্লিতে তাদের হেফাজতে নিচ্ছে। এরই প্রতিবাদে এদিন উপত্যাকায় বন্ধের ডাক দিয়েছিল বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারমধ্যেই এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটে গেল।
জানা গিয়েছে কাশ্মীরের কুলগাম জেলার খুদওয়ানির হাওউরা এলাকায় বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করছিলেন স্থানীয়রা। সেময় হঠাতই বিক্ষোভকারী মুখোমুখি হয় সেনার একটি টহলদার বাহিনী। অভিযোগ বাহিনীকে দেখেই তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে শুরু করে বিক্ষোভকারীরা। পাল্টা সমবেত জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে টহলদারবাহিনীর সদস্যরাও। তাতেই ওই তিনজনের মৃত্যু হয়। গুলিবিদ্ধ হন আরও বেশ কয়েকজন।
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে নিহত তিনজন হলেন ২২ বছরের শাকির আহমদ খান্দে, ২০ বছরের ইরশাদ আহমদ ও ১৬ বছরের আন্দলীব। এই ঘটনায় নতুন করে উপত্যকায় চাপা উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গোটা উপত্যকাই এখন থমথমে হয়ে রয়েছে। কুলগাম, সোপিয়ান, অনন্তনাগ এবং পুলওয়ামায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
এর আগে বিক্ষোভকারীদের গাডড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনায় জড়িয়েছিল সেনার নাম। একের পর এক এই ঘটনায় বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তিরাই লাভবান হচ্ছেন বলে মনে করছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা। ঘটনায় সেনার ভূমিকার তীব্র নিন্দা করেছেন হুরিয়ত চেয়ারম্যান মিরওয়াইজ উমর ফারুক। তাঁর মতে সেনা এখন উপত্যকায় হত্যাকাণ্ড শুরু করেছে।
এরমধ্যে রবিবার আবার হিজবুল জঙ্গি বুরহান ওয়ানির মৃত্যুদিন। তার ঠিক আগের দিন এই ঘটনা ঘটায় রবিবার প্রতিবাদ বিক্ষোভে কাশ্মীর উপত্যকা উত্তাল হয়ে ওযার আশঙ্কা করছে প্রশাসন।