নাগরিকত্ব প্রমাণে ৬.৬ কোটি নথি জমা দিয়েছেন ৩.৯ কোটি বাসিন্দা
আজই সেই চরম দিন। অসমের কতজন দেশের বৈধ নাগরিক সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আজ।
আজই সেই চরম দিন। অসমের কতজন দেশের বৈধ নাগরিক সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আজ। এই দিনটির জন্য বান্ডিল বান্ডিল কাগজ জমিয়ে রেখেছিলেন বাসিন্দারা। অসমের মৌরিগাঁওয়ের বাসিন্দা হায়দর আলি জানিয়েছেন শুধু মাত্র এনআরসিকে নাগরিকত্বের প্রমাণ দেওয়ার জন্য কয়েক ট্রাঙ্ক কাগজ জমিয়ে রাখতে হয়েছে তাঁকে।
এনআরসি তালিকার প্রমাণ দিতে কাগজের পাহার জমিয়েছেন বাসিন্দারা
১৯৭২ সালের পরে কারা ভারতে এসেছেন সেটা জানতেই মোদী সরকারের এই বিশেষ নাগরিকপঞ্জির তালিকা তৈরি। বৈধ কাগজ জমা দিতে পারলে তবেই তিনি দেশের নাগরিক বলে চিহ্নিত হবেন। নইলে অবৈধ শরণার্থী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনকে অবৈধ অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই মামলাও আদালতে চলছে। এই নাগরিকত্বের বৈধতা প্রমাণে অসমেব বাসিন্দাদের যে বিপুল পরিমাণ নথি জমা দিতে হয়েছে তা শুনলে অনেকেই চমকে যাবেন। অনেকেই জানিয়েছেন প্রায় চার দশক ধরে এই দেশে বসবাসের নথি তাঁদের সংগ্রহ করে রাখতে হয়েছে। ট্রাঙ্ক, ট্রাঙ্ক নথি রয়েছে তাঁদের কাছে।
এনআরসি তালিকায় নথি জমা করেছেন ৩.৯ কোটি বাসিন্দা
অসমের ৩.৯ কোটি বাসিন্দা এনআরসি তালিকার জন্য আবেদন করেছেন। তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ নথি সংগ্রহ করেছে কর্তৃপক্ষ। হিসেব করলে প্রায় ৬.৬ কোটি নথি জমা পড়েছে এনআরসি কর্তৃপক্ষের দফতরে। সেই নথি যাতে কিছুতেই প্রকাশ্যে না আসে তার জন্য এনআরসি কর্তৃপক্ষকে গোপনীয়তা বজায় রাখার কড়া নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
নথি হারিয়েছে অনেকেরই
এনআরসি
তালিকায়
সরকারের
দাবি
মতো
নথি
জমা
দিতে
হিমসিম
খেয়েছেন
অনেক
বাসিন্দাই।
অসমের
এক
সমাজকর্মী
প্রসেনজিত
বিশ্বাস
জানিয়েছেন,
তাঁর
বাবার
নাগরিকত্ব
প্রমাণে
১৯৫৫
সালের
নথি
জমা
দিতে
হয়েছে।
কিন্তু
গুয়াহাটির
এনআরসি
সেবাকেন্দ্র
সেই
নথি
ফিরিয়ে
দিয়েছে।
অনেকেই
আবার
বন্যায়
হারিয়ে
ফেলেছেন
নথিপত্র।
তার
প্রতিলিপি
জমা
দিতে
হিমসিম
খেয়েছেন
তাঁরা।
মোরেগাঁওয়ের
বাসিন্দা
জানিয়েছেন,
বন্যার
সময়
ভেসে
গিয়েছিল
বাড়ি
ঘর।
তারপরেই
অনেক
কাগজই
তাঁরা
পাচ্ছেন
না্য
এই
পরিস্থিতিতে
এনআরসির
দাবি
মতো
অনেক
কাগজই
তাঁরা
জমা
দিতে
পারেননি।
এতোকিছু জমা দেওয়ার পরেও দাবি শেষ হয়নি এনআরসি কর্তৃপক্ষের। প্রায় চার দশকের নাগরিকত্ব প্রমাণের নথি পেশ করতে হয়েছে অসমের বাসিন্দাদের। তারপরেও অনেকের নথি বৈধ নয় বলে দাবি করা হয়েছে। এবং নাগরিকত্ব প্রমাণে আরও নথি চেয়ে পাঠিয়েছেন তাঁরা।