তামিলনাড়ু : এক বছরের মেয়ের পেট থেকে বেরলে সাড়ে ৩ কেজির ভ্রূণ
কোয়েম্বাটুর, ৮ আগস্ট : ১ বছরের শিশুর পেটে সাড়ে তিন কেজি ওজনের ভ্রূণ। আর এই ভ্রূণই শুষে নিচ্ছে শিশুর শরীরের রক্ত সরবরাহ। ক্ষতিগ্রস্ত করছে শিশুর অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে। এমন বিরলতম ঘটনার সাক্ষী রইল মেট্টুপালায়ামের একটি বেসরকারি হাসপাতাল। অস্ত্রপোচারের মাধ্যমে বাদ দেওয়া শিশুর পেট থেকে ভ্রূণটিকে বের করা সম্ভব হয়েছে। [৪ বছরের শিশুর পেটে শিশু, চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরে]
শ্রী গণপতি কৃষ্ণ হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি, দিনমজুর রাজু ও সুমতির সন্তান নিশা। স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বড় পেটের আকার নিয়েই জন্মেছিল সে। কিন্তু তখন বিষয়টি নিয়ে কেউই খুব একটা গা করেনি। [ভারতে সর্বপ্রথম : 'ত্বকবিহীন' শিশু জন্ম নিল নাগপুরে]
কিন্তু কিছুদিন ধরেই নিশার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হচ্ছিল, খাবার খেতে পারছিল না। এমনকী পেটের আকারও ক্রমশ বাড়তে থাকে। এই সমস্ত উপসর্গ দেখেই মেয়েকে হাসপাতালে নিয়ে যান রাজু ও সুমতি। [কেরল : আমি 'প্রেগনেন্ট', দাবি যখন এক পুরুষের !]
প্রথমটায় চিকিৎসকরা ভেবেছিলেন হয়তো পেটের ভিতরে কোনও বড় আকারের সিস্ট তৈরি হয়েছে। কিন্তু আল্ট্রাসাউন্ডের পর চিকিৎসকদের সন্দেহ হয় যে আসলে নিশার পেটে ভ্রূণ রয়েছে। অস্ত্রপোচারের পর এবিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেন চিকিৎসকরা। [খেলতে খেলতে সন্তান প্রসব চিনের কিশোরী ভলিবল খেলোয়াড়ের]
চিকিৎসকদের একাংশের মতে মায়ের পেটের দুটি ভ্রূণ তৈরি হলেও কোনও কারণে ভ্রূণের বিকাশের সময় একটি ভ্রূণ আর একটির মধ্যে ঢুকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে এমনটা হতে পারে। তবে আল্ট্রাসাউন্ডে তা ধরা পরে। হয়তো শেষের দিকে সুমতি সোনোগ্রাফির জন্য চিকিৎসকের কাছে যায়নি বলেই বিষয়টি ধরা পরেনি।