টিকাকরণ শুরুর পর মৃত ২৭! দ্বিতীয় দফার টিকাকরণের মুখেই দায় এড়াচ্ছে কেন্দ্র
করোনা দূরীকরণের লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই অনেকটাই অগ্রসর হয়েছে ভারত। শুধুমাত্র শনিবারেই সারা ভারতে প্রায় ৮৪,৮০০ জনের টিকাকরণের কথা জানিয়েছে ভারতীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। যদিও ভারত বায়োটেকের 'কোভ্যাক্সিন' নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ, এমনকী প্রশ্নের মুখে পড়েছে অক্সফোর্ডের কোভিশিল্ডও। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বিবৃতি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত টিকাকরণের পর মৃত্যু হয়েছে ২৭ জনের। স্বাভাবিকভাবেই নাগরিকমহলে কোভিড টিকা নিয়ে বাড়ছে আশঙ্কা। যদিও কোনও মৃত্যুই সরাসরি টিকাকরণের ফলে হয়নি বলেও সাফাই দিচ্ছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।


শনিবারেই মৃত্যু ৩ জনের
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যদপ্তরের খবর অনুযায়ী, টিকা পাওয়ার পর শনিবার নতুন করে মারা গেছেন ৩ নাগরিক। ফলে টিকাকরণে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭। যদিও টিকাকরণের ফলে মৃত্যুর ঘটনাকে এড়িয়ে গেছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, "ভ্যাকসিনের ফলে কোনোরকম তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা মৃত্যুর ঘটনা এখনও পর্যন্ত ঘটেনি।"

শনিবার দ্বিতীয় ডোজের লক্ষ্যে নাগরিকরা
এদিকে প্রথম ডোজ নেওয়ার পর পুনরায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন নাগরিকরা, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব। প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮ দিনের মাথায় দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞরা। অন্যদিকে শনিবার একটি সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে টিকাকরণের বিষয়ে যাবতীয় তথ্যাদি সকলের সামনে আনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

এখনও পর্যন্ত ৮০লক্ষ কোভিড যোদ্ধাকে টিকা
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের মতে, এখনও পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় ৮০.৫২ লক্ষ কোভিড যোদ্ধাকে করোনা টিকা দেওয়া হয়েছে। যদিও টিকা দেওয়ার পর নাগরিকদের মধ্যে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা মৃত্যুর খবরের বিষয়ে এখনও পর্যন্ত মুখে কুলুপ স্বাস্থ্য দফতরের। যদিও ভারতীয় স্বাস্থ্যসচিবের মতে, শনিবারই ভারতে করোনা টিকাকরণ এক অন্য মাত্রায় পৌঁছেছে। তৈরি হয়েছে নয়া রেকর্ড। যদিও টিকার বিষয়ে কোনোরকম বিতর্কমূলক মন্তব্য করতে চাননি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।

একনজরে ভারতের করোনা পরিসংখ্যান
ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসাব অনুসারে, এখনও পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,০৯,০৪,৭৩৮ জন নাগরিক। যদিও আশার বিষয় এই যে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ১,০৬,০৯,৭৮৮ জন। সংক্রমণের হার কমেছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি এমনকী বাংলাতেও। এমনকী কমছে দৈনিক মৃত্যুর হারও। এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবেই টিকাকরণের সংখ্যা আগের চেয়েও বৃদ্ধি পাওয়ায় উচ্ছ্বসিত গবেষকরা।