অনলাইনে সিরিয়াল দেখার নেশা থাকলে হতে পারে এই মানসিক সমস্যা, সতর্ক হোন
গুরগাঁওয়ের এক মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ বেশ কয়েকদিন বাদে বাদেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন বলে দাবি তাঁর। আর এই সবের নেপথ্যে রয়েছে অনলাইনে ভিডিও দেখার নেশা।
গুরগাঁওয়ের এক মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ বেশ কয়েকদিন বাদে বাদেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছিলেন বলে দাবি তাঁর। সমস্যা নিয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হতেই তিনি জানতে পারেন , তাঁর অ্যাংজাইটি অ্যাটাকও হচ্ছিল। আর এই সবের নেপথ্যে রয়েছে রাত জেগে অনলাইনে সিরিয়াল দেখার নেশা।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে গিয়ে ওই ২৬ বছর বয়সী যুবক জানান, বেশ কয়েকদিন ধরেই তাঁর কর্মক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছিল। সেই নিয়ে তিনি চিন্তিতও ছিলেন। যুবকের সন্দেহ ছিল, যে তাঁর কাজের জায়গা সংক্রান্ত কোনও সমস্যা নিয়েই তাঁর অবসাদ আসছে। সঙ্গে রয়েছে 'কৌতূহল"কে কেন্দ্র করে তুনুল একটা অস্থিরতার মনোভাব। তবে চিকিৎসক মণীশ জৈন তাঁকে নীরিক্ষণ করার পর যা জানিয়েছেন তা অবাক করার মতো।
বিএল কে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসক মণীশ জৈন জানিয়েছেন , তাঁর কাছে আসা ওই ২৬ বছরের যুবকের মূল সমস্যা ছিল যে তাঁর ঘুম হয়না। আর ঘুম না হওয়ার কারণ, অত্যধিক হারে অনলাইনে রাত জেগে ভিডিও দেখা। তা থেকেই ' অনলাইন বিঞ্জ ওয়াচিং ' সমস্যা তৈরি হয় যুবকের । বিশেষত তথ্যচিত্র , সিরিয়াল এই সমস্ত দেখার ঝোঁক থাকলেই এই মানসিক সমস্যা ও তা থেকে অবসাদ তৈরি হবে।
দেখা যাচ্ছে রাজধানী দিল্লির মতো জায়গায় ক্রমাগত বাড়তে থাকছে ' অনলাইন বিঞ্জ ওয়াচিং ' সমস্যা। এর ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চরম খারাপ প্রভাব পড়ে। কৌতূহল বাড়তে বাড়তে এমন পর্যায় চলে যায়, যা অস্থির মনোভাব তৈরি করতে থাকে। ফলে ঘুম কম হয়, অন্যদিকে কাজ করতে ভালো লাগে না। কর্মস্থলে গেলেই ঘুম পায়। অনলাইন বিঞ্জ ওয়াচিং সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের রাগও খুব বেশি পরিমাণে হতে থাকে। এই সমস্যা এড়াতে চিকিৎসকের পরামর্শ হল, যতদূর সম্ভব রাত জেগে অনলাইনে ভিডিও দেখার নেশা এড়ানো।