১৪ বছর পর ছত্তিসগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তারে খুলল ২৬টি স্কুল
১৪ বছর পর ছত্তিসগড়ের মাওবাদী অধ্যুষিত বস্তারে খুলল ২৬টি স্কুল
ছত্তিসগড়ে বিজাপুর জেলায় মাওবাদীদের আতঙ্কে ১৪ বছর ধরে বন্ধ থাকা প্রায় ২৬টি স্কুল পুনরায় চালু করল রাজ্য সরকার। ছত্তিসগড়ের শিক্ষা দফতরের তথ্য অনুসারে, মাওবাদী হানার জেরে বস্তার ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রায় ৩০০টি স্কুল বন্ধ ছিল।
এবার সেই স্কুল গুলির মধ্যে বর্তমানে বিজাপুরের ২৬টি স্কুলে নতুন করে পঠন-পাঠন চালু করার ছাড়পত্র দিল ছত্তিসগড় প্রশাসন। ২০০৭ সালে বিজাপুরে মাওবাদীর সন্ত্রাস ব্যাপক আকার ধারণ করে। দক্ষিণ এশিয়ার সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গিত পোর্টালের তথ্য অনুসারে ওই সময় ৫১ টি মাওবাদী হানায় ৯৮ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য সহ মোট ১৫৫ জন নিহত হয়। কিন্তু চলতি বছরে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০তে।
বর্তমানে মাওবাদী উপদ্রব খানিকটা হ্রাস পাওয়ার পর প্রশাসন ও স্থানীয় আদিবাসীদের সহায়তায় স্কুলগুলি আবার চালু করা সম্ভব হয়েছে। পাশাপাশি সরকারি সূত্রে খবর, ওই স্কুল গুলিতে এখনও পর্যন্ত ৭০০ শিক্ষার্থী ভর্তিও হয়েছে।
বিজাপুর জেলা কালেক্টর কেডি কুঞ্জম এই প্রসঙ্গে বলেন, “ এই এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া শিশুদের আবারও সমাজের মূল স্রোতে ফেরাতেই আমরা পুনরায় স্কুল গুলি চালুর উদ্যোগ নিয়েছি। এই অত্যন্ত সংবেদনশীল এলাকা গুলিতে শিক্ষার মাধ্যমে শিশুদের পুনরুজ্জীবিত করতে সরকার ও গ্রামবাসীদের যৌথ উদ্যোগে আবার স্কুল গুলিতে পঠনপাঠন শুরু হয়েছে।” ইতিমধ্যে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনার সুবিধার্থে স্লেট, পাঠ্যপুস্তক,লেখার খাতা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি পড়ুয়াদের দুপুরের খাবারও সরবরাহ করা হচ্ছে বলে জানান বিজাপুরের জেলা কালেক্টর।
কেরপে, সেন্ড্রা, ভৈরমার, মাদাপাল এবং হলুরের মতো যে সমস্ত প্রত্যন্ত গ্রামে এই স্কুল গুলি পুনরায় চালু হয়েছে সেখানে বর্তমানে শিক্ষার হার ৫০শতাংশেরও কম। অন্যদিকে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে ছত্তিসগড়ের নগর অঞ্চলে সাক্ষরতার হার গড়ে ৮০.২৭ শতাংশ, যেখানে জাতীয় সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ।