উপকরণে বাড়ে ক্যানসারে সম্ভাবনা, জাতীয় অপরিহার্য ওষুধ তালিকা থেকে বাদ ২৬টি ওষুধ
উপকরণে বাড়ে ক্যানসার সম্ভাবনা, জাতীয় অপরিহার্য ওষুধ তালিকা থেকে বাদ ২৬টি ওষুধ
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া মঙ্গলবার জাতীয় অপরিহার্য ওষুধ বা ন্যাশনাল লিস্ট অফ এসেনসিয়াল মেডিসিনের সংশোধিত তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেখানে প্রায় ২৭টি বিভাগের ৩৮৪টি ওষুধের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ বাতিল করা হয়েছে। তারমধ্যে অন্যতম হল রেনিটিডিন। এটি মূলত পেট খারাপ বা বদহজম দূর করার জন্য ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। জিনট্যাক, অ্যাসিলক ও ব়্যানট্যাকের মতো ওষুধে রেনিটিডিন ব্যবহার করা হতো। তবে এই রেনিটিডিন ক্যানসারের উদ্বেগের কারণ হিসেবে চিহ্নিত করার পরেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে।
ক্যানসার উদ্বেগের উপকরণ বাদ
জাতীয় অপরিহার্য ওষুধের তালিকা থেকে মূলত সেই উপকরণের ওষুধগুলো বাতিল করা হয়েছে, যেগুলো ক্যানসারের উদ্বেগ বাড়িয়ে দেয়। ২০২০ সালে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগ রেনিটিডিন যুক্ত ওষুধ বা ইঞ্জেকশনে এন-নাইট্রোসোডিমিথাইলামাইন সন্ধান পায়। তারপরেই এফডিএ মৌখিকভাবে রেনিটিডিনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জাতীয় অপরিহার্য ওষুধের তালিকা থেকে রেনিটিডিন যুক্ত ওষুধকে বাদ দেওয়া হল। ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ ফার্মাকোলজি-র প্রকাশিত একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, এন-নাইট্রোসামাইনস পাকস্থলী, খাদ্যনালী, নাসোফ্যারিক্স এবং মূত্রাশয় ক্যানসারের কারণ।
তালিকায় প্রয়োজনীয় নতুন ওষুধ
সংবাদ সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এন্ডোক্রাইন ওষুধ এবং গর্ভনিরোধক ফ্লুড্রোকোর্টিসোন, অরমেলোক্সিফিন, ইনসুলিন গ্লারজিন এবং টেনেলিগ্লিটিনওকে জাতীয় জরুরি ওষুধের তালিকায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করেছে। শ্বাসযন্ত্রের সক্রিয়তা বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ মন্টেলুকাস্ট চক্ষু সংক্রান্ত ওষুধ ল্যাটানোপ্রস্টও তালিকায় নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কার্ডিওভাসকুলার ওষুধ ডাবিগাট্রান এবং টেনেক্টপ্লেসওকে তালিকাভুক্ত করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রক।
ওষুধের সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ
জাতীয় জরুরি ওষুধের তালিকা ঘোষণার পাশাপাশি সাধারণভাবে ব্যবহৃত বেশ কিছু ওষুধের দামও ঘোষণা করা হবে বলে জানা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, কিছু অ্যান্টিবায়োটিক, ভ্যাকসিন ও অ্যান্টি ক্যানসারের ওষুধের দাম কেন্দ্রের তরফে ঘোষণা করা হবে। ওষুধকে আরও সাশ্রয়ী করতে ও রোগীর ব্যয় কমাতে ওষুধের দাম ঘোষণার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে।
৩৫০ জন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলোচনা
এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেছেন, জাতীয় জরুরি ওষুধের তালিকা মঙ্গলবার প্রকাশ করা হয়েছে। এই তালিকার ভিত্তিতে ন্যাশনাল ফার্মা প্রাইসিং অথরিটি ওষুধগুলোর সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করবে। যে কোনও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা যাতে নিজের ইচ্ছামতো ওষুধের দাম বাড়াতে না পারে, সেই কারণেই কেন্দ্রের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি মন্তব্য করেছে, ওষুধগুলোর সর্বোচ্চ দাম নির্ধারন করা একটি জটিল ও দীর্ঘ প্রক্রিয়া। এই কাজটির দায়িত্ব একটি স্বাধীন কমিটিকে দেওয়া হবে। ৩৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৪.৭ মিলিয়নেরও বেশি ব্যাঙ্ক নোটে এলিজাবেথ দ্বিতীয়ের ছবি, শেষকৃত্যের পরেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত