২০০৮ মু্ম্বই হামলায় ভিডিও গেম খেলার মতো করে গুলি চালাচ্ছিল আজমল কসাভ
রেলের ঘোষক হিসাবে কাজ করা বাবলু কুমার দীপক সেই ঘটনার অন্যত সাক্ষী। তিনি সেদিন ডিউটি করছিলেন। আজমল কসাভকে একেবারে সামনে থেকে গুলি চালাতে দেখেছেন।
আজমল কসাভ। পাকিস্তান থেকে মুম্বইয়ে জলপথে এসে হামলা চালিয়ে জীবিত ধরা পড়া একমাত্র জঙ্গি। পরে ২০১২ সালে এতজন নিরীহ মানুষকে খুন করার অপরাধে তাকে ফাঁসি দেয় ভারত সরকার। একইসঙ্গে সারা দুনিয়ার কাছে স্পষ্ট করে দেয় কীভাবে ভারত বিরোধী সন্ত্রাসবাদে পাকিস্তান মদত দিয়ে চলেছে। গোটা দুনিয়ার সামনে কসাভের মাধ্যমে ভারত পাকিস্তানের মুখোশ টেনে খুলে ফেলে।
কসাভ হামলা চালায় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ টার্মিনাস রেল স্টেশনে। রাত তখন সাড়ে ৯টা। সবে মুম্বই-পুনে ইন্দ্রযানী এক্সপ্রেস স্টেশনে এসে থেমেছে। ভিড় ঠাসা স্টেশনে সকলে ব্যস্ততার মধ্যে দৌড়াদৌড়ি করছেন। তার মাঝেই আচমকা বিস্ফোরণের শব্দ।
রেলের ঘোষক হিসাবে কাজ করা বাবলু কুমার দীপক সেই ঘটনার অন্যত সাক্ষী। তিনি সেদিন ডিউটি করছিলেন। আজমল কসাভকে একেবারে সামনে থেকে গুলি চালাতে দেখেছেন। তাঁর কথায়, দেখে মনে হচ্ছিল কলেজের কোনও ছাত্র যেমন ভিডিও গেম খেলছে। এমনভাবে সে নিরীহ যাত্রীদের ওপরে গুলি চালাচ্ছিল। যার অর্থ, ভয় বা আতঙ্কের লেশমাত্র ছিল না কসাভের চোখে মুখে। হাসতে হাসতে কিছু কথা বলতে বলতে সে গুলি চালিয়ে হত্যালীলা চালিয়েছে।
সেদিন দীপকের বাইকুল্লা রেল স্টেশনে ডিউটি ছিল। তবে কর্মী কম থাকায় বিকেল তিনটের সময় বাইকুল্লায় ডিউটি শেষ করে সে ছত্রপতি টার্মিনাস স্টেশনে আসে। সেখানে ডিউটি করছিল। এমন সময় রাত সাড়ে ৯টার সময় এই ঘটনা ঘটে।
কিছুক্ষণের মধ্যে অন্তত জনা পঞ্চাশেক মানুষ নিহত হন। আহত হন বহু মানুষ। আজমল কসাভকে জীবিত গ্রেফতার করা হয়। চার বছরের মধ্যে ফাঁসি দেয় ভারত সরকার।