শিয়রে করোনা! চূড়ান্ত হয়রানির শিকার জয়েন্ট পরীক্ষার্থীরা, প্রথম ৩ দিনে অনুপস্থিতির হার ২৫ শতাংশ
শিয়রে করোনা! চূড়ান্ত হয়রানির শিকার জয়েন্ট পরীক্ষার্থীরা, প্রথম ৩ দিনে অনুপস্থিতির হার ২৫ শতাংশ
হাজারো বিতর্কের মধ্যেই করোনা সঙ্কটেই চলতি বছরের জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা নেওয়ার পথে হাঁটে কেন্দ্র। কিন্তু মহামারীর জেরে গণপরিবহন ব্যবস্থাপ বেহাল অবস্থা সঙ্গে একাধিক জায়গায় ভারী বর্ষার কারণে পরীক্ষার প্রথন তিনদিন পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতেই নাকানিচোবানি খেলেন পরীক্ষার্থীরা।
অনুপস্থিত ২৫ শতাংশ পড়ুয়া
বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রক কর্তৃক প্রকাশিত তথ্যে দেখা যাচ্ছে আবেদনকারী পরীক্ষার্থীদের মধ্যে চার ভাগের একভাগই পরীক্ষা দিতে এলেন না। সূত্রের খবর, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা জয়েন্ট এন্ট্রান্সের জন্য মোট যে ৪৫৮,৫২১ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছিল তার মধ্যে ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৫৬৩ জনই প্রথম তিনদিন অনুপস্থিত থাকলেন।
জয়েন্ট মেইন চলবে ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
প্রসঙ্গত, জয়েন্ট এন্ট্রাসের মেইন পরীক্ষা হওয়ার কথা ১লা সেপ্টেম্বর থেকে ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। পাশাপশি মেডিক্যালের জন্য নিট পরীক্ষা ১৩ই সেপ্টেম্বর হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টের সর্বশেষ নির্দেশ মেনেই পরীক্ষার যাবতীয় আয়োজন করেছে কেন্দ্র। যদিও মঙ্গলবার থেকে পরীক্ষা শুরু কথা থাকলেও করোনা সঙ্কটের জেরে তা বাতিল করা দাবি ওঠে একাধিক মহল থেকে।
করোনা ঠেকাতে নির্দেশিকা এনটিএ-র
জয়েন্টের তারিখ বদলের দাবিতে সরব হতে দেখা যায় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কেও। এদিকে পরীক্ষার মাঝে করোনা সংক্রমণ এড়াতে দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি গত সপ্তাহেই একাধিক সুরক্ষা বিধি সম্বলিত একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করে। পরীক্ষাকেন্দ্র, পরীক্ষাগ্রহণের পদ্ধতি এমনকি ছাত্র-ছাত্রীদের বসার জায়গাতেও একাধিক রদবদল করা হয়।
প্রথম তিন দিন মোট কতজন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিলেন ?
সূত্রের খবর, মাত্র ৩৪৩,৯৫৮ জন পরীক্ষার্থী প্রথম তিন দিন পরীক্ষা দেয়। মোট আবেদনকারীর ৫৪.৬৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা শুরু দিন জয়েন্টে বসেন। অন্যদিকে দ্বিতীয় দিনে পরীক্ষায় বসেন প্রায় ৮১ শতাংশ পরীক্ষার্থী। তৃতীয় দিনে এই হার দাঁড়ায় ৮২ শতাংশ। এদিকে করোনা সঙ্কটের আবহে এই মারণ ভাইরাসের ছোঁয়াচ এড়াতে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭০ থেকে বাড়িয়ে ৬৬০ করে এনটিএ।
করোনায় তাপমাত্রা মাপার টেম্পারেচার গান ত্বকের জন্য ক্ষতিকর! ভুয়ো তথ্য ছড়াচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে