অযোধ্যা রায় ঘোষণার সময় ২৪ বার ভারতের ধর্ম নিরপেক্ষতার উল্লেখ প্রধান বিচারপতির
অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়দানের সময় ধর্ম নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। তাও আবার ২৪ বার।
শতাব্দী প্রাচীণ বিবাদের নিষ্পত্তি। ভারতের আইনি লড়াইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে লম্বা চলা মামলা। যেই মামলা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ানোর আশঙ্কা করেছিল সব পক্ষ। যেই মামলা কয়েক দশক ধরে বিভাজন তৈরি করেছিল দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে। সেই অযোধ্যা বিবাদ মামলার রায়দানের সময় ধর্ম নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে ভারতবর্ষের দায়বদ্ধতা মনে করিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। তাও আবার ২৪ বার।
১০৪৫ পাতার এই মামলার রায়তে মোট ২৪ বার উল্লেখ করা আছে ধর্ম নিরপেক্ষতার বিষয়। এবং ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখা কতটা জরুরি তাও উল্লেখ রয়েছে রায়তে। রায়ের একটি অংশে লেখা, "সংবিধানে সকল ভর্ম ও সম্প্রদায়কে সমান চোখে দেখার কথা বলা হয়েছে। সহমর্মিতা ও সমধর্মিতার মাধ্যমে দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতাকে রক্ষা করতে হবে আমাদের।"
শনিবার অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার শুরু করার সময় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, "আমাদের এই দেশকে অনেকবার দখল করা হয়েছে। তবুও ভারতবাসী সেই দখলদারদের সঙ্গে মিলেমিশে থেকেছে। আমাদের দেশের চিরকালের মূলমন্ত্র ছিল, রাজনীতি ও আধ্যাত্মিক পথ অনুসরণ করে সত্যকে খুঁজে পাওয়া।"
বিবাদের মূলে থাকা পুরো জমিটি রামলালাকে দিয়ে দেওয়ার রায় ঘোষণার পর আদালত জানায়, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে মসজিদ নির্মাণ করার জন্য পাঁচ একর জমি দিতে হবে সরকারকে। সেই রায় দেওয়ার সময়ও ধর্ম নিরপেক্ষতার উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি। তিনি বলেন, "১৯৪৯ সালের ২২ বা ২৩ ডিসেম্বর মুসলমানদের মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা না করতে পারার কারণে বিতারিত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বরে সমজিদটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়। যদি এক্ষেত্রে মুসলিমদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়, তবে ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্রের পক্ষে তা অনুচিত হবে।"