করোনার মাঝেই অসমে নয়া চিনা ভাইরাস হানায় মৃত ২২০০ শুয়োর!
কোরোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। সরকারের তরফে একাধিকবার লকডাউনের নিয়ম মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। তবে লকডাউন তো মানুষের জন্য, পশুদের জন্য নয়। তবে খামারে থাকা পশুরা তো এমনিতেই বন্দি। বন্দি থেকেও য তাদের নিস্তার নেই! করোনা প্রকোপের মাঝেই অসমে নতুন এক চিনা ভাইরাসের আবির্ভাবের জেরে মৃত্যু হয়েছে ২২০০ শুয়োরের।
অসমের মোট ছয়টি জেলায় অজানা ভাইরাসের হানা
অসমের মোট ছয়টি জেলায় বিগত কয়েক দিনেই অজানা এই ভাইরাস হানাদারি চালানোর ফলে এই বিরাট সংখ্যক শুয়োরের মৃত্যু হয়েছে। ইতিমধ্যেই অসম সরকার শুয়োর এবং তার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে। বেশ কিছু এলাকা ইতিমধ্যেই কন্টেইনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
তবে রহস্যময় এই ভাইরাস আদতে কী?
তবে রহস্যময় এই ভাইরাস আদতে কী? রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী অতুল বোরা কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে তিনি জানান, শুয়োরগুলির স্যাম্পেল সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে নর্থ ইস্টার্ন রিজিওনাল ডিজিজ ডায়গনস্টিক ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছিল। তবে নমুনা পরীক্ষা থেকে কোনও কিছুই পরিস্কার নয়। তাই এই ভাইরাসের খুঁটিনাটি সব কিছু নিশ্চিত করে জানতে শুয়োরের স্যাম্পেল সংগ্রহ করে তা পাঠানো হয়েছে ভোপালের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ হাই সিকিওরিটি অ্যানিম্যাল ডিজিজে।
করোনায় লকডাউন অমান্য
এদিকে অসমে করোনা প্রতিরোধের জন্য ১২টি জেলার মোট ২৭টি জায়গা সিল করে দেওয়া হয়েছে। এরপরও লকডাউন উপেক্ষা করে চলেছে অনেকে। পুলিশ সূত্রে খবর, লকডাউন শুরুর পর থেকে ২ হাজার ৫৩২টি ঘটনার জন্য ১ হাজার ৬৯০টি মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অসমের করোনা পরিস্থিতি
রাজ্যে ১০ হাজার ৮৭৫টি কোরোনা টেস্ট করা হয়েছে। তার মধ্যে ৪২ জনের কোরোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩২ জন।