র্যাগিং-এর অপরাধে সাসপেন্ড ২২ ছাত্র, নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত আইআইটি কানপুরের
জুনিয়রদের র্যাগিংয়ের অপরাধে ১৬জন আইআইটি, কানপুরের ছাত্রকে সাসপেন্ড করা হল
জুনিয়রদের র্যাগিংয়ের অপরাধে ১৬জন আইআইটি, কানপুরের ছাত্রকে ৩ বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হল। আরও ৬জনকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। আইআইটি-র ইতিহাসে এই প্রথম এই ধরনের শাস্তি দেওয়া হল। সোমবার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইআইটি কানপুরের সেনেট যা এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নীতি নির্ধারণও করে।
ওই ২২জন বি টেক ছাত্রের বিরুদ্ধে জুনিয়রদের নগ্ন করে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছিল। সেই র্যাগিংয়ের ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই তাঁরা ফের তাঁদের পড়াশোনা শুরু করতে পারবেন বলে আইআইটি, কানপুর সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে সাসপেন্ড করা হলেও ২২জনের বিরুদ্ধে থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করা হবে না বলে জানিয়েছে আইআইটি, কানপুর কর্তৃপক্ষ। কারণ পুলিশের খাতায় নাম উঠে গেলে তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত হয়ে পড়বে বলেই মত কর্তৃপক্ষের।
আইআইটি কানপুরের ডেপুটি ডিরেক্টর মণিন্দ্র আগরওয়াল জানিয়েছেন, দোষী সাব্যস্ত হওয়া এই ২২জ ছাত্র ক্ষমাপ্রার্থনার আবেদন জানাতে পারবেন না। কারণ, তাঁদের বিরুদ্ধে গুরুতরে অভিযোগ ছিল। সেইসঙ্গে স্টুডেন্ট জিমখানার সভাপতি ও অন্যান্য পদাধিকারীদেরও অভিযোগে কান না দেওয়ার কারণে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আইআইটি কানপুরের ৩০ জন জুনিয়র ছাত্র কর্তৃপক্ষের কাছে ৫০জন সিনিয়রের বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছিলেন। তাঁদের নগ্ন করে মারধর করা হয়ে বলে অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই অ্যান্টি র্যাগিংয়ের কমিটি তদন্ত করে ২২জনকে দোষী সাব্যস্ত করে।