আহমেদাবাদের হাসপাতালে ৩৬ ঘন্টায় ২১ সদ্যোজাতের মৃত্যু, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় মুখ্যমন্ত্রী
শুক্রবার রাত থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ২১ টি সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গুজরাত। সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে ২১ টি সদ্যোজাতের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে তোলপাড় গুজরাত। সরকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
রবিবার হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। মৃত্যুর কারণ হিসেবে যদি অবহেলা কিংবা সুবিধার অভাব সম্পর্কে কোনও অভিযোগ পাওয়া যায়, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। এর আগে তিনি গান্ধীনগরে বিষয়টি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে পাঁচটি শিশুকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে খুব খারাপ অবস্থায় আনা হয়েছিল। তাঁদের ওজনও ছিল খুব কম।
হাসপাতাল
সূত্রে
খবর,
প্রায়
সবকটি
সদ্যোজাতের
ওজন
ছিল
নির্দিষ্ট
পরিমাণের
থেকে
কম।
লুনাভাদা,
সুরেন্দ্রনগর,
মনসা,
বীরাঙ্গম
এবং
হিম্মতনগরের
হাসপাতালগুলিতে
পর্যাপ্ত
সুবিধা
না
থাকায়
সেখান
থেকে
আহমেদাবাদ
সিভিল
হাসপাতালে
পাঁচটি
শিশুকে
রেফার
করা
হয়েছিল।
যদিও
তাদের
বাঁচানো
যায়নি।
নির্দিষ্ট
পরিমাণের
কম
ওজন
ছাড়াও
জন্মের
পর
থেকেই
তারা
শ্বাসকষ্টে
ভুগছিল
বলে
জানা
গিয়েছে।
আহমেদাবাদ
সিভিল
হাসপাতালে
জন্মের
পরেই
মৃত
চারটি
শিশুর
মধ্যে
তিনজন
শ্বাসকষ্টে
ভুগছিল।
বাকি
সদ্যোজাত
মেকোনিয়াম
অ্যাসপিরেশন
সিনড্রোমে
ভুগছিল
বলে
জানা
গিয়েছে।
হাসপাতাল সুপার এমএম প্রভাকর জানিয়েছেন, শনিবার রাত থেকে আরও দুটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ক্যানসারে অপর একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে ওজন খুব কম হওয়ার কারণে।
এখনও পর্যন্ত ২১টি শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে শিশু মৃত্যুর ঘটনার পরেই, তদন্তের জন্য সরকারের তরফে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রয়েছেন, শিশু চিকিৎসক, স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন সরকারি আধিকারিক। এক সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
রাজ্যের প্রধান হাসপাতাল হওয়ায় সব সময়ই খারাপ অবস্থায় থাকা রোগীদের ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়। ফলে চেষ্টা সত্ত্বেও তাঁদের বাঁচানো যায় না বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি জয়ন্তী রবি।
সরকারের তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে, আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালে সদ্যোজাতের গড় মৃত্যুর সংখ্যা দিনে ৫ থেকে ৬ জন।
এদিকে এই শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে হাসপাতাল সুপারের অফিসের বাইরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।