হায়দ্রাবাদের সরকারি হাসপাতালে ২১ রোগীর মৃত্যু, কর্মীরা দায় চাপাচ্ছে লোডশেডিংয়ের উপর
হায়দ্রাবাদ, ২৪ জুলাই : হায়দ্রাবাদের ১২০০ শয্যার সরকারি হাসপাতালে শুক্রবার একসঙ্গে ২১ রোগীর মৃত্যু হল। তবে এই মৃত্যুর দায় হাসপাতাল চাপাচ্ছে লোডশেডিং-এর উপর।
ডাক্তারদের একাংশের কথায়, এদিন বিকেল ৩ টে নাগাদ প্রথম বিদ্যুতের সমস্যা হয়। বিদ্যুত ট্রিপ করতে শুরু করে। এর পর ক্রমাগত খানিকক্ষণ বাদে বাদেই লোডশেডিং হচ্ছিল। হাসপাতালে ৪টি জেনারেটর থাকলে হাসপাতাল কর্মীদের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জেনারেটর চালানো সম্ভব হচ্ছিল না। [১০৪ বছর বয়সী বৃদ্ধার নিতম্ভে অস্ত্রোপচার করে রেকর্ড গড়লেন চিকিৎসকেরা ]
রোগীমৃত্যুর অধিকাংশই হয়েছে স্পেশ্যালিটি ওয়ার্ডে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, রেসপেটারি ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট, অ্যাকিউট মেডিক্যাল কেয়ার ইউনিট এবং এমার্জেন্সি ওয়ার্ড। [হাসপাতালে ধর্ষিতা দিদিকে দেখতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী]
তেলেঙ্গানার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ সি লক্ষ্মা রেড্ডি জানিয়েছেন, রাজ্যের সেরা সরকারি হাসপাতালে এতগুলি রোগীর মৃত্যুর দায় সরাসরি লোডশেডিংকে দেওয়া ঠিক হবে না, আসলে এই ওয়ার্ডগুলিতে অধিকাংশ রোগীকেই প্রায় শেষ অবস্থায় নিয়ে আসা হয়।
গান্ধী হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, এই বিষয়ে তদন্ত করা হবে, কেউ যদি প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। [ইউএসজিতে গর্ভে দুটি শিশু দেখা গেলেও ডেলিভারিতে বেরল একটিই]
সাউদার্ন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের তরফে জানানো হয়েছে শুক্রবার বিদ্যুতের সমস্যা ছিল। রাত ৯ টা থেকে ১০ টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত লোডশেডিং ছিল। হাসপাতালের জেনারেটরের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে যে হাসপাতালে সমস্যা তৈরি হয়েছিল সে বিষয়েও তারা অবগত ছিল বলেও জানিয়েছে।