পিস্তল কেনা এদেশে রেস্তোরাঁ খোলার থেকে সোজা! আর্থিক সমীক্ষা ২০২০ কোন বার্তা দিচ্ছে
এদিন সংসদে পেশ হয়েছে আর্থিক সমীক্ষা ২০১৯-২০২০ সালের রিপোর্ট। আর তাতেই দেখা গিয়েছে এদেশের রেস্তোরাঁ খুলতে এবার জটিলতা রয়েছে 'নথি'র চক্করে! মশকরা করে আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে , তাতে এদেশে পিস্তল কিনতে এত নথি লাগে না, যত না এবার লাগে রেস্তোরাঁ খুলতে।
সমীক্ষার রিপোর্ট কী বলছে?
পর পর টানা ৪৫ টি নথি লাগে একটি রেস্তোরাঁ খুলতে। আর পিস্তল কিনতে লাগে মাত্র ১৯ টি। এমনই তথ্য উঠে আসে এদিনেক আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্টে। রেস্তোরাঁ খুলতে যে লাইসেন্স দরকার হয় ,তার জন্য দিল্লি পুলিশের কাছে এই ৪৫ টি নথিউ দেখাতে হয়। বলছে আর্থিক সমীক্ষা ২০২০।
কোন কোন রাজ্যে কোন নিয়ম রয়েছে রেস্তোরাঁর লাইসেন্স ঘিরে ?
রেস্তোরাঁর খুলতে গেলে লাইসেন্সের জন্য দিল্লিতে লাগে ২৬ টি প্রাথমিক লাইসেন্স, বেঙ্গালুরুতে লাগে ৩৬ টি অনুমোদন তথা লাইসেন্স, মুম্বইতে লাগে ২২ টি । এরপর দিল্লিতে প্রয়োজন হয় 'পুলিশ ইটিং হাউস লাইসেন্স' যার জন্য দরকার হয় ৪৫ টি নথির। যেখানে পিস্ত কিনতে লাগে মাত্র ১৯ টি নথি। (প্রতীকী ছবি)
বিদেশে কীরকম নিয়ম?
উল্লেখ্য, চিনে একটি রেস্তোরাঁ খুলতে লাগে মাত্র ৪ টি লাইসেন্স। একই নিয়ম সিঙ্গাপুরে । অন্যদিকে,নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডের ওয়েবসাইটে সমস্ত বিবরণী সুন্দরভাবে দেওয়া রয়েছে। যাতে কারোর রেস্তোরাঁ খোলবার বিষয়ে জটিলতা বা সমস্যা তৈরি না হয়।
বিশ্বের মানচিত্রে ব্য়বসার দিকে ভারত কততম স্থানে?
বিশ্বে যেসমস্ত দেশে লাইসেন্স ও অনুমোদন ঘিরে জটিলতা থাকে ব্যবসায়িক দিকে ,ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ওয়ার্ল্ড ব্যাঙ্কের খতিয়ান বলছে ভারত 'ব্যবসা করার যোগ্য জায়গা'র নিরিখে ভারত ৬৩ নম্বর স্থানে রয়েছে বিশ্বে। এর ক্ষেত্রে পরিকাঠামো একটি বড় দিক।