২০১৯ লোকসভায় ভরাডুবির পর কিভাবে জমি পোক্ত করছে কংগ্রেস! পদ্মশিবিরে ক্রমেই কষছে 'হাত'এর থাবা
ঠিক এক বছর আগে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পদ্মশিবিরের পোক্ত দূর্গ রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ দখল করেছিল কংগ্রেস। আর বছর ঘুরতেই ফের একবার পদ্মিশিবিরে থাবা বসিয়েছে 'হাত'। ২৩ মে লোকসভা নির্বাচনে তুমুল ভরাডুবির পর সতর্ক চালে এগিয়েছে কংগ্রেস। আর 'ক্যাপ্টেন' না হলেও ২০১৯ সালে মহারাষ্ট্র-ঝাড়খন্ডে কার্যত 'ভাইস ক্যাপ্টেন' এর তাজ মাথায় বসিয়ে নিতে পেরেছে সোনিয়া শিবির। একনজরে দেখে নেওয়া যাক লোকসভা ভোট পরবর্তী পর্যায়ে কোনপথে জমি শক্ত করেছে কংগ্রেস।
ঝাড়খন্ড নির্বাচন ও ভোট ব্য়াঙ্ক
মহারাষ্ট্রের পর ঝাড়খন্ড নির্বাচনকে পাখির চোখ করেছিল সোনিয়া- প্রিয়ঙ্কা-রাহুলের শিবির। তারা ঝাড়খন্ডে মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেনকে সামনে রেখে জোট গড়ে এগিয়ে যেতে শুরু করে। জোট রাজনীতিতে আরজেডি ও জেএমএম-কে নিয়ে কংগ্রেস চালকের আসনে না থাকলেও নিজের জমি শক্ত করার ক্ষেত্রে হাত শিবির বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দাবি বহু বিশেষজ্ঞের।
আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক
ঝাড়খন্ডের রাজনীতিতে বারবার প্রভাব ফেলেছে আদিবাসী ভোট ব্যাঙ্ক। আর সেজন্যই বিজেপি শিবিরের রঘুবর দাসের বিরুদ্ধে তপশীলি জাতির হেমন্ত সোরেনকে নিয়ে মোর্চার সঙ্গে সংঘবদ্ধ হয় কংগ্রেস। তাতে আদিবাসী ভোটব্যাঙ্কের লাভ কংগ্রেসের জোটের কাছে আসে।
মহিলা নির্যাতন ইস্যু ও ঝাড়খন্ডের ভোট অঙ্ক
রাহুল গান্ধীর 'রেপ ইন ইন্ডিয়া' মন্তব্য নিয়ে বিজেপি সংসদে তোলপাড় করলেও ঝাড়খন্ডের নির্বাচনী মঞ্চে তার প্রভাব পড়েনি । বরং দেশ জুড়ে ধর্ষণ সহ একাধিক মহিলা নির্যাতন মামলাকে সামনে রেখে কংগ্রেস জোট বারবার বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে সফল হয়েছে রাঢ়ভূমির নির্বাচনে। প্রসঙ্গত, ঝাড়খন্ডের মতো জায়গায় মহিলা নির্যাতন একটি বড় ইস্যু ছিল নির্বাচনে।
লোকসভা ভোট পরবর্তী সময়ে কিভাবে জমি শক্ত করছে কংগ্রেস
লোকসভা ভোটে কার্যত রাহুল শিবির নিশ্চিহ্ন হওয়ার জোগাড় ছিল! তরকালীন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী নিজে আমেথি আসন হারান। যে আসন এককালে গান্ধী পরিবারের ভোট ব্যাঙ্কের দখলে ছিল। কিন্তু সেনাপতি সহ এমন ভরাডুবির পর হাল ছাড়েনি কংগ্রেস । এরপর ধীরে সুস্থে মহারাষ্ট্রের জোট সরকারে থেকে নিজের জমি পোক্ত করেছে সোনিয়া শিবির। তারপরই এগিয়েছে তারা ঝাড়খন্ডের দিকে। যেখানেও জোট-রাজনীতি বড় ভূমিকা পালন করে কংগ্রেসের উত্থানের ক্ষেত্রে।
সোনিয়া ফ্যাক্টর ও কংগ্রেস
লোকসভায় কংগ্রেসের ভোট বৈতরণী পার করতে ব্যর্থ হন রাহুল গান্ধী এরপরই কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পদে আসেন সোনিয়া। যাঁর হাত ধরে ইউপিএ সরকার ১০ বছর ছিল কেন্দ্রের তখতে। সেই সোনিয়াকে কংগ্রেস আরও একবার প্রধানের পদে রেখে মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খন্ড নির্বাচনে কার্যত মাটি শক্ত করেছে হাত শিবির।