১০ বছর আগে মুম্বই হামলায় ঠিক কী হয়েছিল! জেনে নিন একনজরে
২০০৮ সালের মুম্বই হামলার দশ বছর পূর্ণ হল।
২০০৮ সালের মুম্বই হামলার দশ বছর পূর্ণ হল। এক দশক আগে ২৬ নভেম্বরের সেই স্মৃতি অনেকের চোখেই উজ্জ্বল হয়ে রয়েছে। টিভির পর্দায় সেদিন সারা দেশ চোখ রেখেছিল। বলতে গেলে প্রায় তিনদিন ধরে অপারেশন চালানোর পরে সবকটি এলাকা জঙ্গি মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়। একনজরে জেনে নেওয়া যাক ঠিক কী হয়েছিল এক দশক আগে।
দশ জন পাকিস্তানির হামলা
দশ জন পাকিস্তানি নাগরিক তথা লস্কর ই তৈবা জঙ্গি মুম্বইয়ে জলপথে এসে নেমে বেশ কয়েকটি জায়গায় হামলা চালায়। মোট ১৬৬জন মানুষকে হত্যা করা হয়। এনকাউন্টারে ৯ জঙ্গি নিহত হয়। একমাত্র জীবিত ধরা হয় আজমল কসাভকে। পরে ২০১২ সালে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়।
করাচি থেকে মুম্বই
বন্দর শহর করাচি থেকে জলপথে ভারতে ঢোকে জঙ্গিরা। একটি মাছ ধরার ট্রলার ছিনতাই করা হয়। চারজন মৎস্যজীবীকে খুন করা হয়। তাদের দেহ জলে ফেলে দেওয়া হয়। ট্রলারের চালকের গলা কেটে খুন করা হয়। এরপরে মুম্বইয়ে গেটওয়ে অব ইন্ডিয়ার সামনে ট্রলার থামিয়ে নেমে পড়ে জঙ্গিরা। একটি গাড়ি ও পুলিশ ভ্যান ছিনতাই করা হয়। তারপরে তিনটি দলে ভাগ হয়ে যায় জঙ্গিরা। তাদের কাছে স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ও গ্রেনেড ছিল।
শিবাজী রেল টার্মিনাসে হামলা
ছত্রপতি শিবাজী রেল টার্মিনাসে হামলা হয়। দেড় ঘণ্টার হামলায় ৫৮ জনকে খুন করা হয়। প্রকাশ্যে গুলি ছুড়তে ছুড়তে হত্যালীলা চালায় জঙ্গিরা। কাফে লিওপোল্ডে হামলা চলে। সেখানে ১০জনকে হত্যা করা হয়। কামা অ্যান্ড অ্যাল্বলেস হাসপাতালে হামলায় ছয় জনকে খুন করে জঙ্গিরা।
নরিম্যান হাউসে হামলা
এর পাশাপাশি নরিম্যান হাউসে হামলা হয়। সেখানে প্রায় তিনদিন ধরে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। ৭ জনকে হত্যা করা হয়। ওবেরয়-ট্রাইডেন্ট হোটেলে হামলায় অন্তত ৩০ জনকে হত্যা করা হয়। এখানেও প্রায় তিনদিন ধরে জঙ্গিরা লুকিয়ে ছিল। একইভাবে তাজমহল প্যালেস হোটেলেও তিনদিন জঙ্গিরা ভিতরে লুকিয়ে থেকে ৩১ জনকে খুন করে।
শেষ অপারেশন
প্রায় তিনদিনের অপারেশন শেষে ভারতীয় প্রশাসন সবকটি এলাকা ও হোটেল জঙ্গিমুক্ত বলে ঘোষণা করে। ১৬৬ জনের প্রাণ যায়। আহত হন বেশ কিছু মানুষ। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও ছিলেন। বেশ কিছু বিদেশি পর্যটকও ছিলেন।