গুজরাত দাঙ্গায় কি ফের অভিযুক্তের কাঠগড়ায় মোদী! ক্লিনচিট নিয়ে নয়া শুনানিতে বসছে সুপ্রিম কোর্ট
২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে নয়া আপিলে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রয়াত কংগ্রেস নেতা এহেসান জাফরির স্ত্রী জাকিয়া জাফরি আদালতে গুজরাত দাঙ্গা নিয়ে আবেদন করেছিলেন। ২০০২ সালের গুজরাত দাঙ্গায় বিশেষ তদন্তকাী দল তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ক্লিনচিট দেয়। সেই ঘটনায় শুনানি চেয়ে আবেদন করেন। যে আপিলে সাড়া দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
শুনবে শীর্ষ আদালত
আগামী ১৯ নভেম্বর শীর্ষ আদালত এই মামলার শুনানিতে রাজি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। মোদী ছাড়াও অনেক হেভিওয়েট নেতা ও আমলাদের সিট ক্লিনচিট দেয়। সেই সবকিছুই একসঙ্গে আদালত শুনতে রাজি হয়েছে।
২০০২ সালের ঘটনা
২০০২ সালে গুলবার্গ সোস্যাইটির ঘটনায় গতবছরে গুজরাত হাইকোর্ট জাকিয়া জাফরির পিটিশন খারিজ করে দেয়। নরেন্দ্র মোদীর ক্লিনচিটকেই মান্যতা দেয় হাইকোর্ট। একইসঙ্গে উচ্চ আদালতে জাকিয়া যেতে পারেন বলে জানায়।
খুন হন ৬৮ জন
২০০২ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের গুলবার্গ সোস্যাইটিতে ৬৮জনকে খুন করা হয়। যার মধ্যে ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ এহেসান জাফরি। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।
সিটের তদন্ত
২০০৮ সালে জাফরির অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পেয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল তদন্ত করে। তৎকালীন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ২০১০ সালে নয় ঘণ্টা ধরে জেরা করা হয়। পরে তাঁকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেয় সিট।
অব্যাহতি মোদীকে
মোদী সহ মোট ৬০ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার পর সিট জানায়, শাস্তিযোগ্য কোনও অপরাধ মোদীর বিরুদ্ধে পাওয়া যায়নি। ২০১২ সালে জাকিয়া জাফরি এই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। ২০১৩ সালেও নিম্ন আদালত সিটের রিপোর্টকেই মান্যতা দেয়।
আবেদন খারিজ
পরে জাফরি ও অন্যান্যরা গুজরাত হাইকোর্টে যান। তবে সেখানেও আদালত বিশেষ তদন্তকারী দলের রিপোর্টকেই মান্যতা দিয়ে আবেদন খারিজ করে দেয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই ঘটনায় যোগ নেই বলে জানিয়ে দেয়।