রেললাইনে উদ্ধার দেহের তদন্তের কিনারায় উঠে এলো রোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড
প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মাকে খুন করল মেয়ে। তিনদিন মৃতদেহ ঘরে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস। রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে হায়দরাবাদের হায়াত নগরে।
প্রেমিকের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে মাকে খুন করল মেয়ে। তিনদিন মৃতদেহ ঘরে রেখে প্রেমিকের সঙ্গে সহবাস। রোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে হায়দরাবাদের হায়াত নগরে। ট্রাক চালক শ্রীনিবাস রেড্ডি ও তাঁর স্ত্রী রজিতার একমাত্র কন্যা কীর্তিই হত্যাকাণ্ডের মূলে। দুই প্রেিমকের সঙ্গে মেয়ের সম্পর্কে আপত্তি জানিয়েছিল মা। সেকারণে মাকে খুন করে কীর্তি। বাবা পেশায় ট্রাক চালক হওয়ায় তিনি অধিকাংশ সময় বাড়িতে থাকতেন না।
এক প্রেমিকের সঙ্গে মাকে খুন করে দেহ বাড়িতেই রেখে দিয়েছিল বছর কুড়ির কীর্তি। তিন ধরে সেই প্রেমিকের সঙ্গেই বাড়িতে ছিল সে। তিন দিন পর পচা গন্ধ বেরোতে শুরু করলে প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে মায়ের দেহ রমনাপেেট রেল লাইনের উপরে ফেলে রেখে আসে সে।
তারপরে বাবাকে ফোন করে জানায় সে বন্ধুর বাড়ি ভাইজ্যাকে যাচ্ছে। কিন্তু সেখানে না গিয়ে আরেক প্রেমিকের বাড়িতে যায় কীর্তি। ২৫ অক্টোবর শ্রীনিবাস বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরে তালা ঝুলছে। মেয়েকে সঙ্গে সঙ্গে ফোন করে মােয়র খবর জানতে চান। কীর্তি জানায় সে বাইরে আছে তাই মায়ের খবর জানে না। তারপর বাড়ি ফিরে বাবার সঙ্গে মাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। কোথাও স্ত্রীর সন্ধান না পেয়ে শ্রীনিবাস থানায় ডায়রি করেন।
তদন্তে নেেম পুলিস কীর্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তার একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে। মোবাইল ফোনের সিগনাল ট্র্যাক করে রামপেটে রেললাইনে উদ্ধার দেহের আসন খুনির সন্ধান পায় পুলিস।
ভারতীয়দের মস্তিষ্ক ছোট, বলছে সমীক্ষা