কেন্দ্র-কৃষক বৈঠকের শুরুতেই মিলল বরফ গলার ইঙ্গিত? কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের 'পদক্ষেপ' ঘিরে জল্পনা
মৃত কৃষকদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, বৈঠকের আগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কৃষক নেতাদের নীরবতা পালন। বিতর্কিত কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাজধানীর বাইরে আন্দোলন চলছে। প্রায় দেড় মাস হতে চলল রাজপথের দখল নিয়েছেন কৃষকরা। এই আবহে এদিন কৃষক-কেন্দ্র বৈঠকের আগে নীরবতা পালন করেন নরেন্দ্র সিং তোমররা।
কৃষি আইন নিয়ে গুজব
এদিকে এরই মধ্যে কৃষি আইন নিয়ে গুজব ছড়িয়েছিল যে রিলায়েন্স গোষ্ঠীকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্র। এবার সেই নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল রিলায়েন্স গ্রুপ। পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হল, চুক্তিভিত্তিক অথবা কর্পোরেট কৃষি ব্যবসায় প্রবেশের কোনও পরিকল্পনা রিলায়েন্স গোষ্ঠীর নেই।
কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক ইতিবাচক হতে পারে
এরপর থেকেই মনে করা হতে থাকে যে আজ কৃষক-কেন্দ্র বৈঠক ইতিবাচক হতে পারে। এদিন রিলায়েন্স ইন্ডস্ট্রিজ লিমিটেডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, রিলায়েন্স কখনও কৃষকদের থেকে সরাসরি খাদ্যশস্য কেনে না। সংস্থার সরবরাহকারীরা ন্যূনতম সহায়ক মূল্যেই কৃষকদের থেকে ফসল কেনে। পাশাপাশি এটাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, রিলায়েন্স কম দামে দীর্ঘমেয়াদি ক্রয় সংক্রান্ত কোনও চুক্তিতে কখনও প্রবেশ করেনি বা সংস্থার সরবরাহকারীরা কৃষকদের কাছ থেকে পারিশ্রমিক মূল্যের চেয়ে কম দামে কিনতে চায়নি।
রিলায়েন্সের বিবৃতি
সংস্থার তরফে এক বিবৃতি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে, 'কৃষকরা কঠোর পরিশ্রম করে যে ফসল উৎপাদন করে তার ন্যায্য ও লাভজনক দাম পাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে রিলায়েন্স এবং এর সহযোগী সংস্থাগুলি সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করে। প্রকৃতপক্ষে আমরা আমাদের সরবরাহকারীদের সরকার নির্ধারিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্য অথবা কৃষিজ উৎপাদনের পারিশ্রমিক মূল্য কঠোরভাবে মেনে চলার উপর জোর দিই।'
রিলায়েন্সের মোবাইল টাওয়ার ভাঙচুর
উল্লেখ্য বিগত কিছুদিন ধরে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় একের পর এক রিলায়েন্সের মোবাইল টাওয়ার ভাঙচুর করা হয়েছে। রিলায়েন্সের প্রতিদ্বন্দ্বী সংস্থাগুলি ব্যবসায়িক স্বার্থে কৃষকদের আন্দোলেন সুযোগ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে রিলায়েন্স। সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই পঞ্জাব ও হরিয়াণা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রিলায়েন্স।