জেলে লালুকে সেবা করতে দুই ভক্ত যা করল, তাতে ভিড়মি খাবেন
রাঁচির বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দুই সঙ্গীও। তারা সেবা করছেন লালুকে। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তথ্যে শোরগোল সরকারি পর্যায়ে।
রাঁচির বিরসা মুন্ডা কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে রয়েছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের দুই সঙ্গীও। তারা সেবা করছেন লালুকে। এই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের তথ্যে শোরগোল সরকারি পর্যায়ে।
দুই লালু ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে সাধারণ অভিযোগ। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে লালুর সঙ্গে এই সংশোধনাগারে রয়েছেন এই দুই ব্যক্তি। যেদিন থেকে লালু সংশোধনাগারে ঢুকেছেন, সেই একই দিনে আত্মসমর্পণ করেছেন এবং সংশোধনাগারে ঢুকেছেন এই দুই ব্যক্তি।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, দুজনের বিরুদ্ধেই ভুয়ো মামলা করা হয়। লালুপ্রসাদ যাদবের সঙ্গে থাকার জন্য এবং তাঁকে সেবা করার জন্যই মদন যাদব এবং লক্ষ্মণ যাদব নামে দুই লালু ঘনিষ্ঠ সংশোধনাগারে গিয়েছেন।
লালু
ঘনিষ্ঠ
উদ্যোগপতি
মদন
যাদব।
যাঁর
দুটি
কাউশেড
রয়েছে।
বড়
বাড়ি
রয়েছে
এবং
উচ্চমূল্যের
এসইউভি
গাড়িও
রয়েছে।
রাঁচির
বাসিন্দা
সুমিত
যাদবের
কাছ
থেকে
১০
হাজার
টাকা
ছিনিয়ে
নেওয়ার
অভিযোগ
আনা
হয়েছে
মদন
যাদবের
বিরুদ্ধে।
বন্ধু
মদন
যাদবকে
সঙ্গ
দেওয়ার
জন্য
ধরা
হয়েছে
লক্ষ্মণ
যাদব
নামে
অপর
লালু
ঘনিষ্ঠকে।
সেও
একই
সংশোধনাগারে
রয়েছে।
মদন যাদব ও লক্ষ্মণ যাদবকে সবার সামনে নিজের সঙ্গী হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকার করেছেন লালুপ্রসাদ যাদব। তবে তাঁরা আরডেজি কর্মী বলে স্বীকার করেছেন লালুপ্রসাদ যাদব। কী ভাবে তারা জেলে ঢুকল পুলিশকে তা তদন্ত করে দেখা উচিত। লালুজি কখনও কাউকে জেলে যেতে বলেননি। এমনটাই জানিয়েছেন, আরজেডির মুখপত্র শক্তি সিং যাদব।
তবে সুমিত যাদবের করা অভিযোগ নিয়ে পুলিশের সন্দেহ করার কোনও কারণ নেই। ২৩ ডিসেম্বর সুমিত যাদব মদন ও লক্ষ্মণ যাদবের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেন। ওই একই দিনে, পশুখাদ্য মামলায় সিবিআই-এর বিশেষ আদালত লালুপ্রসাদ যাদবকে দোষী সাব্যস্ত করে।
মদন যাদবের জেলে যাওয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন রাঁচিতে থাকা তাঁদের পরিচিতরাই। হঠাতই নিখোঁজ হয়ে যান মদন যাদব। পরে জানা যায় তিনি জেলে রয়েছেন। স্থানীয় এক চা-বিক্রেতা মনোজ কুমার জানিয়েছেন, মদন যাদবের আর্থিক অবস্থা খুবই ভাল। ফলে তার বিরুদ্ধে ছিনিয়ে নেওয়া বা চুরি করার অভিযোগ নিয়ে সন্দিহার তাঁরা। জেলে আরজেডি বসকে সেবা করার জন্যই মদন জেলে গিয়েছেন বলে মনে করছেন তাঁরা।
যদিও পুলিশ অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। উদ্দেশ্যও খতিয়ে দেখছে। পুলিশ এটাও জেনেছে, লালু যখনই রাঁচিতে গিয়েছেন তখনই লালুর সঙ্গে মদন যাদবকে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে, লক্ষ্মণ যাদব এর আগে লালুর পাচক হিসেবে কাজ করছেন। সেক্ষেত্রে বলতে গেলে দুজনই লালুর পরিচিত।
পুরো ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে, ২৩ ডিসেম্বরের ছিনিয়ে নেওয়া এবং আত্মসমর্পণের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। দুজনের আত্মসমর্পণ কিংবা তাদের জেলে পাঠানোর ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা অবহিত নন বলেই জানিয়েছেন এক সিনিয়র পুলিশ আধিকারিক।
সাধারণত, এইধরনের কোনও ঘটনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনজীবীকে পুলিশ স্টেশন ডায়েরি এবং এফআইআর-সহ প্রমাণ পেশ করতে বলা হয়। তবে এই কেসে কোনও পদ্ধতিই মানা হয়নি। এমনটাই জানিয়েছেন, তদন্তকারী অফিসার এসএসপি কুলদীপ দ্বিবেদী।