২ লক্ষ শিশু স্কুলে যায় না, ৮০ শতাংশের বাড়িতে নেই কম্পিউটার, সরকারি সমীক্ষায় উঠে এল দিল্লির হাল–হকিকৎ
বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুরা। অশিক্ষা, অপুষ্টি, আর্থিক দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়া, শিশু শ্রমিকের কবলে শিশুদের ভবিষ্যত অন্ধকারে ঢেকে গিয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ভারতের। দেশের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে শিশু সহ জনসংখ্যার ওপর এক সমীক্ষাতে দেখা গিয়েছে যে ১০ শতাংশ শিশু স্কুল যায় না এবং ৮০ শতাংশ শিশুর বাড়িতে কম্পিউটার নেই।

এবার দেখে নেওয়া যাক দিল্লির এই সমীক্ষায় রাজধানীর বাসিন্দাদের কি ধরনের পরিস্থিতির কথা তুলে ধরা হয়েছে।
❑ দিল্লিতে আর্থিক প্রতিবন্ধকতার কারণে ৬৪,৮১৩ জন সহ ২ লক্ষ শিশু স্কুলে যায় না।
❑ ০–৬ বছর বয়সের শিশুরা অঙ্গনওয়াড়ির বাইরে, এই অঙ্গনওয়াড়ি দিল্লিতে অর্ধেকেরও কম অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের নিয়ে কাজ করছে।
❑ দিল্লির ৬৩ শতাংশ যাত্রী যেখানে বাস ব্যবহার করেন, তার বিপরীতে মাত্র ৬ শতাংশ যাত্রী মেট্রোতে যাতায়াত করেন।
❑ সমীক্ষায় এও উঠে এসেছে যে শহরের ৪২.৫৯ শতাংশ পরিবার প্রতিমাসে দশ হাজারেরও কম টাকায় পরিবার চালায়। ৮০ শতাংশ শিশুর কাছে কম্পিউটার নেই এবং ২৯ শতাংশ পরিবার কলের জল পায় না। তবে সব পরিবারে শৌচালয় রয়েছে।
❑ জাতীয় রাজধানীর জনসংখ্যার এক–চতুর্থাংশ সরকারি সুযোগ সুবিধার ওপর নির্ভরশীল, ২.৬০ শতাংশ জনসংখ্যা দীর্ঘকাল ধরে অসুস্থ, অধিকাংশের ডায়বেটিস।
❑ ০–৫ বছর বয়সী এক–চতুর্থাংশ শিশু এখনও কোনও ভ্যাকসিন পায়নি।
দিল্লি সরকারের সমীক্ষায় এই তথ্যগুলি উঠে এসেছে। ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ১.০২ কোটি দিল্লিবাসীর ওপর এই সরকারি সমীক্ষা করা হয়েছিল। ২০২০ সালের নভেম্বরে রিপোর্ট চূড়আন্ত করা হয়। শহরের সামাজিক–অর্থনৈতিক, ধর্ম, জাতি, উপার্জন, শিক্ষা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতা, টিকাদানের ব্যবস্থা, চাকরি ও পরিবহন ব্যবস্থার ওপর এই সমীক্ষা করা হয়।

তৃণমূলকে দিশাহারা করতে আরও এক পদক্ষেপে বিজেপি! কোন ছকে এগোচ্ছে গেরুয়া শিবির