কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির মাঝে বেঙ্গালুরুতে ধরা পড়ল ২ জন ভুয়ো সোয়াব সংগ্রহকারী
বেঙ্গালুরুতে ধরা পড়ল ২ জন ভুয়ো সোয়াব সংগ্রহকারী
দেশের করোনা ভাইরাসের উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মাঝেই কেন্দ্র সরকার কড়া কোভিড টেস্টের প্রচেষ্টার জন্য আহ্বান জানিয়েছে, সেই সময় বেঙ্গালুরুর পুরনিগমের আধিকারিকরা প্রতারণার সঙ্গে লড়াই করছেন। তাও আবার এই কোভিড টেস্ট নিয়ে। জানা গিয়েছে, একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ২ জন সোয়াব সংগ্রহকারী ল্যাবের পাত্রে প্রকৃত নমুনা সংগ্রহ না করে তা ল্যাবে পাঠাচ্ছে। এই ঘটনায় শনিবার ওই দুই কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। এই ঘটনায় মেডিক্যাল অফিসারকেও সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়েছে।
সংগ্রহ করেনি নমুনা
শীর্ষ সরকারি আধিকারিক এ প্রসঙ্গে বলেন, 'তারা গলা বা নাক থেকে নমুনা না নিয়েই সেই সোয়াবগুলি ল্যাবোরাটরিতে টেস্টের জন্য পাঠায়। প্রধানত যারা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতাল থেকে আসে। এই ধরনের আচরণ বিবিএমপিকে সন্দেহ করতে বাধ্য করে যে আদৌও শহরে ঠিকঠাক মতো টেস্ট হচ্ছে কিনা।' ভুয়ো নুমনা সংগ্রহের এই ঘটনা ঘটে ইয়ালাহাঙ্কা সংলগ্ন কোডিগেহালি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। নাগরাজ ও মোহন নামে দু'জন সোয়াব সংগ্রহকারী চুক্তিভিক্তিক কর্মী।
ভিডিওতে কি দেখানো হয়েছে
৫৪ সেকেন্ডের ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে যে নাগরাজ অন্য এক ব্যক্তিকে ক্যামেরা চালু করতে বলছে। নাগরাজ জানিয়েছে যে সে ভয় পায় না এবং পরিস্থিতি কীভাবে সামলাতে হয় সে জানে। ভিডিও ক্লিপিংসে দেখা গিয়েছে যে নাগরাজ ও মোহন প্রকৃত নমুনা সংগ্রহ না করেই সোয়াব স্টিকগুলিকে ছোট ছোট পাত্রে ঢুকিয়ে রাখছে। স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অন্য এক কর্মী তা দেখে হাসছেন। বিবিএমপির প্রধান কমিশনার গৌরভ গুপ্তা বলেন, 'আমরা এ ধরনের পদক্ষেপের সাফাই দিতে পারি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং তদন্তের নির্দেশ দিয়েছি।' পুরনিগমের শীর্ষ এক আধিকারিক জানিয়েছেন এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।
নমুনা ছাড়াই ল্যাবে পাঠানো হচ্ছিল বোতল
২ দিন আগেই এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে যে ওই দু'জন প্রকৃত নমুনা ছাড়াই বোতলগুলি জাতীয় জৈব বিজ্ঞান কেন্দ্রের পরীক্ষার জন্য পাঠাচ্ছিল। ল্যাবে ১২টি কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট বাতিল করে দেওয়া হয়, অর্থাৎ না নেগেটিভ না পজিটিভ। এর আগে নাগরাজ বেসরকারি হাসপাতালে কাজ করত। গত বছর সে তার কাজ হারায়। ৬ মাস আগেই সে ও মোহন পুরনিগমের আওতায় সোয়াব সংগ্রহের প্রশিক্ষণ নেয়।
গ্রেফতার হয়নি অভিযুক্তরা
পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ ভাগ্যলক্ষ্মী জানিয়েছেন যে পুরো জোনের লক্ষ্য একটাই যে প্রতিদিন ৬,৫০০ করে টেস্ট হোক এবং এখানে ১০টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। কোডিগেহালি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে প্রতিদিন ৬৫০ টি করে টেস্ট হয়। তিনি জানান যে দু'জন ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষাগারে পাঠানোর সময় কীভাবে নমুনা রেফারাল ফর্ম আইডি তৈরি করেছিল এবং যাদের ফোন নম্বর লিখেছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশ এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৭৭ ও ৪০৮ ধারায় ওই দু'জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। যদিও এখনও তারা গ্রেফতার হয়নি।
করোনা টেস্ট বাড়ানো নিয়ে চাপ
কিছু
কিছু
বিবিএমপির
কর্মীরা
জানিয়েছেন
যে
করোনার
দ্বিতীয়
ওয়েভের
পর
থেকে
টেস্ট
বাড়ানোর
জন্য
অসম্ভব
চাপ
দেওয়া
হচ্ছে।
এখনও
পর্যন্ত
বিবিএমপি
৯৫,৩৭,২৮৭টি
করোনা
টেস্ট
করেছে।
দৈনিক
গড়ে
৬০
হাজার
করে
টেস্ট
হয়।
এ
বছর
মার্চ
থেকেই
ফের
করোনা
সংক্রমণ
মাথা
চাড়া
দিয়ে
উঠেছে।
শুক্রবার
ইয়ালাহাঙ্কা
জোনে
আবাসন
সহ
১৭টি
কনটেইনমেন্ট
জোন
করা
হয়েছে।
গত
সাতদিনে
২,০৫৮টি
পজিটিভ
কেস
সনাক্ত
হয়েছে।
যার
মধ্যে
৩৩৩
জনকে
হাসপাতালে
বা
কোভিড
কেয়ার
কেন্দ্র
পাঠানো
হয়
এবং
১,৭১৭
জন
বাড়িতে
আইসোলেশনে
রয়েছেন।
বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী নেই বলেই কী বঞ্চনা ? করোনা টিকা নিয়ে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রশ্ন শিবসেনার