চিনের গতিবিধির উপর নজর রাখতে নতুন পদক্ষেপ করল ভারতীয় বায়ুসেনা
ভারতীয় মহাসাগর ও বঙ্গোপসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে চিনের গোপন কোনও গতিবিধির উপর নজর রাখতে সুখোই ৩০এমকেআই ফাইটার এয়ারক্রাফট স্কোয়াড্রন অন্তর্ভুক্ত করা হল ভারতীয় বায়ুসেনায়। সোমবার থানজাবুরে এই অন্তর্ভুক্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াত ও বায়ুসেনা প্রধান এয়ার মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া।
|
নতুন স্কোয়াড্রন অন্তর্ভুক্ত
বায়ুসেনায় এই নতুন স্কোয়াড্রন অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দক্ষিণ চিন সাগর থেকে ভারতের উপর নজরদারি চালানোর জন্যে কোনও নৌবহর যদি ভারতের জলসীমায় আসে তা প্রতিহত করা অনেক সহজ হবে। দক্ষিণ এয়ার কমান্ডের অংশ হবে এই নতুন স্কোয়াড্রন এবং এর ফলে অপারেশন সক্ষমতার দৃষ্টিকোণ থেকে লাভবান হবে ভারত।
|
আরও উন্নতমাণের নতুন এই সুখোই
নতুন এই সুখোইকে আরও উন্নতমাণের করার ফলে এখন এটি থেকে ২.৫ টন ওজনের ব্রহ্মস মিসাইল উৎক্ষেপণ করা যাবে। সুখোই-৩০এমকেআই ফাইটার এয়ারক্রাফ্ট স্কোয়াড্রন মূলত সামুদ্রিক ভূমিকাই পালন করবে এবং বিমানটি যে সমস্ত আক্রমণাত্মক এবং রক্ষণাত্মক ভূমিকা পালন করতে পারে তার সবগুলিই পালন করবে।
'টাইগার শার্কস'
শুখোই বিমানের স্কোয়ার্ডানকে টাইগার শার্কস নাম দেওয়া হয়েছে। এটি শুখোই বিমানের ১২ তম স্কোয়ার্ডান হতে চলেছে। এছাড়াও ১১ টি স্কোয়ার্ডান চিন আর পাকিস্তান সীমান্তে নজর রাখার জন্য মোতায়েন করা আছে। ব্রহ্মস যুক্ত এই লড়াকু বিমান ভারতীয় সীমার রক্ষা করার সাথে সাথে চিন-পাকিস্তানের যেকোনও আক্রমণকে প্রতিহত করার জন্য সক্ষম হবে। শুধু তাই নয়, ব্রহ্মস যে কোনও প্রকারের এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারকেও মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দিতে পারবে। এই মিসাইলের গতি এতই বেশি যে, শত্রুরা পাল্টা জবাব দেওয়ার আগেই শেষ হয়ে যাবে।