সাজা ঘোষণার সময়ে আদালতে কী করছিল আবু সালেম, জানলে অবাক হবেন
এদিন সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে মাঝে মাঝেই হাসতে দেখা গিয়েছে আবু সালেমকে। কারণ সে জানত, প্রথমত তাকে ফাঁসির সাজা শোনাতে পারবে না আদালত।
মুম্বই বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত গ্যাংস্টার আবু সালেমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে মুম্বইয়ের টাডা আদালত। সে সন্ত্রাসের অন্যতম কাণ্ডারী হিসাবে বিবেচিত হলেও ফাঁসির সাজা দেওয়া যায়নি।
[আরও পড়ুন:কেন চাইলেও আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ড দিতে পারল না টাডা আদালত]
২০০৫ সালে পর্তুগালে গ্রেফতার হওয়ার পরে এদেশে বন্দি প্রত্যর্পণ চুক্তি মেনে আবু সালেমকে নিয়ে আসা হয়। লিসবনের আদালত আবু সালেমকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ে দুটি চুক্তি আরোপ করে। প্রথমত আবু সালেমকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া যাবে না। এবং দ্বিতীয়ত যাবজ্জীবনের সাজা হলেও তা ২৫ বছরের বেশি হবে না।
[আরও পড়ুন:মুম্বইয়ের কোন কোন জায়গা কেঁপে উঠেছিল ১৯৯৩ সালের বিস্ফোরণে, জেনে নিন ফ্ল্যাশব্যাকে]
সেদিক থেকে দেখলে আবু সালেম এতদিনে অন্তত ১২ বছরের সাজা খেটে ফেলেছে। ফলে আর মাত্র ১৩ বছর সাজা খাটলেই জেল থেকে মুক্তি পেয়ে যাবে এই সন্ত্রাসবাদী।
আর সম্ভবত সেই কারণেই এদিন সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া চলাকালীন আদালতে মাঝে মাঝেই হাসতে দেখা গিয়েছে আবু সালেমকে। কারণ সে জানত, প্রথমত তাকে ফাঁসির সাজা শোনাতে পারবে না আদালত। সেখানে নিয়মের গেরো রয়েছে। তার উপরে অন্তত ১২ বছর সে সাজা খেটে ফেলেছে। ফলে সর্বোচ্চ ২৫ বছরের সাজা হলে আর মাত্র ১৩ বছর জেল খেটেই বেরিয়ে আসতে পারবে সে।
[আরও পড়ুন:১৯৯৩ থেকে ২০১৭ : মুম্বই ধারাবাহিক বিস্ফোরণের ঘটনাপঞ্জী জেনে নিন একনজরে]
সেই কারণেই এদিন আদালতে হাসছিল আবু সালেম। সূত্রের খবর, মোট দেড় ঘণ্টা আদালতে সাজা ঘোষণার প্রক্রিয়া চলেছে। তার মাঝে বারবার আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলছিল আবু সালেম। এছাড়া রিয়াজের সঙ্গেও কথা বলেছে। তখনই তাকে হাসতে দেখা গিয়েছে। অর্থাৎ সে গোটা ঘটনা আগে থেকে জানতে পেরেই হালকা মেজাজে ছিল।