১৯৯৩ সালের মুম্বই বিস্ফোরণ: ইয়াকুব মেমনের ফাঁসিতে স্থগিতাদেশ আদালতের
১৯৯৩ সালে পরপর বোমা বিস্ফোরণ হয় মুম্বইয়ে। মারা গিয়েছিলেন ২৫৭ জন। জখম হন অন্তত ৭১৩ জন। এর পরই ধরপাকড় শুরু হয়। আর এক চক্রী টাইগার মেমনের সহযোগী চার্টার্ড অ্যাকান্ট্যান্ট ইয়াকুব মেননকেও গ্রেফতার করে পুলিশ। ১৯৯৪ সালের কাঠমান্ডু বিমানবন্দর থেকে সে ধরা পড়ে। ২০০৭ সালে টাডা আদালত তাকে ফাঁসির সাজা দেয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে ইয়াকুব মেমন উচ্চতর আদালতে আপিল করে। ২০১৩ সালের মার্চে সুপ্রিম কোর্ট তার ফাঁসির সাজা বহাল রাখে। ওই বছরেরই অক্টোবর মাসে ইয়াকুব মেমন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে প্রাণভিক্ষার আর্জি জানায়। রাষ্ট্রপতি মহারাষ্ট্র সরকার ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠান। উভয়েই পরামর্শ দেয়, প্রাণভিক্ষার আর্জি খারিজ করার। সেই পরামর্শ মেনে গত ২১ মে প্রণব মুখোপাধ্যায় আর্জি খারিজ করেন।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করে ইয়াকুব মেমন। সেই আবেদন খতিয়ে দেখেত এদিন শীর্ষ আদালত তার প্রাণদণ্ডে স্থগিতাদেশ দেওয়ার কথা ঘোষণা করে। পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসি নিয়ে আর কিছু করতে পারবে না সরকার।
১৯৯৩ সালের এই মুম্বই বিস্ফোরণের মূল খলনায়ক দাউদ ইব্রাহিমকে এখনও গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। সে আইএসআইয়ের সুরক্ষা বলয়ে পাকিস্তানে লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। বিভিন্ন সময় পাকিস্তানের কাছে আর্জি জানানো হলেও তারা দাউদকে ভারতের হাতে সমর্পণ করেনি। নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসায় দাউদ ইব্রাহিম ভয় পেয়ে করাচির আস্তানা ছেড়ে পর্বতসঙ্কুল উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে গিয়ে লুকিয়েছে বলে খবর।