বেআইনিভাবে গর্ভপাত করতে গিয়ে ১৯ বছরের ছাত্রীর যা হল শুনে চমকে উঠবেন
হায়দরাবাদে বেআইনিভাবে গর্ভপাত করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত ছাত্রী। মৃত যুবতীর বন্ধু ও চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।
বেআইনিভাবে গর্ভপাত করাতে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জেরে মৃত্যু হল উনিশ বছরের এক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রীর। হায়দরাবাদের এই ঘটনায় অভিযুক্ত নার্সিং হোমের এক চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বার গর্ভপাত করানোর অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধু নামের একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই যুবতীর। ওই যুবকই গত শনিবার তাঁকে বনস্থলীপুরমের ওই নার্সিংহোমে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানেই চিকিৎসক ওই যুবতীকে একটি ট্যাবলেট খেতে দেন। কিন্তু ওষুধ খাওয়ার পর রবিবার সকাল থেকেই রক্তক্ষরণ শুরু হয় ওই যুবতীর। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওই নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ তাঁকে অন্য়ত্র নিয়ে যেতে বলে। অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ওই যুবতীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ওই যুবতীর গর্ভপাত করতে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: দশবছর বয়সী ধর্ষিতার গর্ভপাতের আবেদন নাকচ আদালতে, কিন্তু কেন]
মৃত যুবতীর পরিবার জানিয়েছে, ওই যুবতীর গর্ভবতী হওয়ার কথা তাঁরা জানতেনই না। সোমবারই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করে মৃতের পরিবার। অভিযোগের ভিত্তিতে নার্সিংহোমের চিকিৎসক ও মধু নামের ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উল্লেখ্য, ভারতে ভ্রুণে বয়স ২০ সপ্তাহ বা তার বেশি হয়ে গেলে গর্ভপাত করানো আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।