বাংলায় ১৯, যোগী রাজ্যে ৮০০ টি শ্রমিক-ট্রেন অনুমোদন পেয়েছে এপর্যন্ত! রেলের দাবি ঘিরে নয়া চাঞ্চল্য
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন যে তিনি ৩০ দিনে ১০৫ টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন রাজ্যে আসার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছেন। এদিকে সংবাদসংস্থা এএনআই এর খবর অনুযায়ী রাজ্যে কেবলমাত্র ১৯ টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে এপর্যন্ত।
রেল সূত্রের খবর
রেলের দাবি এপর্যন্ত মাত্র ১৯ টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনকে পশ্চিমবঙ্গ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, রেল সূ্ত্রের ইঙ্গিত, রাজ্যগুলির জন্যই পরিযায়ী শ্রমিকরা ঘরে ফিরতে পারছেন না।
উত্তরপ্রদেশে ক'টি ট্রেনের অনুমতি?
এদিকে, উত্তরপ্রদেশে প্রথমের দিকে ৪০০ টি ট্রেনের অনুমতি দেওয়া হয়। আর রেল সূত্রের দাবি, এপর্যন্ত বিজেপি শাসিত এই রাজ্য ৮০০ টি শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনের অনুমতি দিয়েছে। যাতে পরিযায়ী শ্রমিকরা সেই রাজ্যে ফিরে যেতে পারেন।
রেলের দাবি
রেলের দাবি রাজ্য়গুলির জন্যই সংশ্লিষ্ট রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা সঠিকভাবে ঘরে ফিরতে পারছেন না। তাঁরা বাধ্য হয়ে পায়ে হেঁটে ফিরছেন, ও বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন। এতে খাবার অভাবে থেকে সোশ্যাল ডিসটেন্সিং এর অভাবও দেখা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরানো নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ও রাজ্য প্রশাসনের সংঘাত বহুদিন ধরেই চরমে উঠেছে। এরপর রেলের নয়া দাবি ঘিরে পারদ আরও চড়েছে।
অন্যান্য রাজ্য়ের কী পরিস্থিতি?
রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, বিহারে প্রতিদিন ৫০ টি করে শ্রমিক ট্রেন যাচ্ছে তবে প্রয়োজন ২০০ টির। সবচেয়ে কম ট্রেন যে রাজ্যগুলি অনুমোদন করেছে তারমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও রয়েছে রাজস্থান, ঝাড়খন্ড , ছত্তিশগড় । রাজস্থানে ৩৩ টি, ছত্তিশগড়ে ১৯ টি, ঝাড়খণ্ডে ৭২ টি ট্রেনের অনুমোদন হয়েছে।
এর আগে রেলমন্ত্রীর বার্তা
'আমি আরও একবার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আপিল করব যে, ৩০ দিনে ১০৫ টি ট্রেনকে চলতে না দিয়ে, দয়া করে প্রতিদিন ১০৫ টি করে ট্রেন চলার অনুমতি দিন। আমরা সমস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পাঠাতে রাজি, যাঁরা যাঁরা ঘরে ফিরতে চান। ' বলে এর আগে দাবি করেন রেলমন্ত্রী।