ধারালো অস্ত্র দিয়ে ১৬ বছরের এক ছাত্রীর কান কাটল দুষ্কৃতীরা, উত্তপ্ত জম্মু ও কাশ্মীর
বুধবার সন্ধ্যাবেলায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। স্কুল থেকে পহেলগ্রাম ভ্রমণে গিয়েছিল ওই ছাত্রী। সেখান থেকেই একদল যুবক তাঁর পিছু নেয়। বুধবার বেড়ানো সেরে ফেরার দিন স্কুল বাস স্কুলের কাছে নামায় ছাত্রীদের। নামার পর আবারা পিছু শুরু করতে থাকে তারা। দশম শ্রেণীর ওই ছাত্রীরকে উত্যক্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এর পর ওই ছাত্রী পালিয়ে যেতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর কান কেটে দেয় দুষ্কৃতীরা। আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রীর বাবা জানিয়েছেন, ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়েই ওরা আমার মেয়ের কান কেটে দিয়েছে। ডাক্তার জানিয়েছে, এর ফলে মেয়ের কানটা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছে।
এই ঘটনায় এলাকার স্টেশন হাউজ অফিসারের ভূমিকা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভের জেরে ওই স্টেশন হাউজ অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সকলকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের ভ্যান গাড়িটিকেও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
বুধবার এই ঘটনাটি ঘটেলেও সোমবার সকাল থেকে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ শুরু করেন ভারিনাগ এলাকার মানুষ। ফের প্রশ্ন উঠেছে নারী নিরাপত্তা নিয়ে। হাতে প্ল্যাকার্ড ও মুখে স্লোগান দিয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ জানান আম আদমি।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, একটি কান সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গিয়েছে ওই ছাত্রীর, তবে প্রাণ হানির সংশয় নেই বলেই চিকিৎসকদের তরফে জানানো হয়েছে।