লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত! হোস্টেলকে কোভিড সেন্টার করার সিদ্ধান্ত নিয়ে উত্তাল আগরতলা
ত্রিপুরায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১৫২-তে। নতুন করে ১৬ জনের শরীরে ভাইরাসে হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব।
ত্রিপুরায় লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। রবিবার সংখ্যাটা পৌঁছে গিয়েছে ১৫২-তে। নতুন করে ১৬ জনের শরীরে ভাইরাসে হদিশ পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। তবে নতুন করে যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই বিএসএফ জওয়ান বলে জানা গিয়েছে।
২৪ ঘন্টায় সারা দেশে নতুন করে আক্রান্ত ৪২১৩, মৃত্যু ৯৭ জনের
ত্রিপুরায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
ত্রিপুরার ধলাই জেলার আমবাসাতেই বিএসএফ-এ বাড়ছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। ৮৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে এই সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। এলাকাকে রেড জোন বলে ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এছাড়াও আক্রান্তদের তালিকায় রয়েছেন এক অ্যাম্বুলেন্স চালক এবং এক ট্রাক চালকও। এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় সবই বিএসএফ-ের তিনটি ব্যাটেলিয়নের সদস্য কিংবা তাঁদের পরিবারের সদস্য।মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে বলেছেন, নতুন করে ত্রিপুরায় যে ১৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন বিএসএফ-এর এক আধিকারিক, ৬ জন মহিলা এবং ৯ জন শিশু। বিএসএফ-এর তৃতীয় ব্যাটেলিয়নের ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু কারও সংক্রমণের খবর পাওয়া যায়নি। সব মিলিয়ে ত্রিপুরায় এখন সক্রিয় আক্রান্ত রয়েছেন ১৪৮ জন। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ জন।
দুই রোগী, এক অ্যাম্বুলেন্স চালক, একজন ট্রাক চালককে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি এবং অসমের করিমগঞ্জের কোয়ারেন্টাইন শিবিরে রাখা হয়েছিল। তাঁদের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। তাঁদেরকে ট্রান্সফার্ড পেশেন্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে।
হোস্টেলকে কোভিট সেন্টার করা নিয়ে আন্দোলন
এদিকে হোস্টেলে কোভিড সেন্টার করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু হয়েছে আগরতলায়। শহরের ভগতক সিং যুব আবাসকে কোভিট সেন্টার করার কথা ঘোষণা করে। যার জেরে স্থানীয়রা আন্দোলন শুরু করেছেন। স্থানীয়দের দাবি, অসুস্থতা ছড়াবে স্থানীয় এলাকায়। যদিও পুলিশ এই সংক্রান্ত বিক্ষোভ লাঠি চালিয়ে হঠিয়ে দেয়।
এপ্রিলে করোনা মুক্ত ত্রিপুরার কথা জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
ত্রিপুরায় প্রথম যে দুজন আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের দুজনকেই এপ্রিলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যকে করোনা মুক্ত বলে ঘোষণা করেছিলেন।