দেশে করোনার বিরুদ্ধে ১৬ লক্ষ জনকে টিকাকরণ, শীর্ষে রয়েছে কর্নাটক
গত ১৬ জানুয়ারি থেকে দেশে শুরু হওয়া করোনা ভ্যাকসিন ড্রাইভ ৬ দিনের মধ্যেই রেকর্ড গড়ে ফেলেছে। আমেরিকা ও ব্রিটেনকে অতিক্রম করে ১০ লক্ষ টিকাকরণের মাধ্যমে নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ক্রমশঃ এগিয়ে চলেছে। এরই মধ্যে রবিবার এই সংখ্যাটা ইতিমধ্যে ১৬ লক্ষ ছাড়িয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, দেশের মধ্যে কর্নাটকে এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকাকরণ করা হয়েছে। এ রাজ্যে ১.৯ লক্ষের বেশিজনকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

কর্নাটকের পরই রয়েছে ওড়িশা (১.৫ লক্ষ) এবং অন্ধ্রপ্রদেশ (১.৪ লক্ষ)। রবিবার হরিয়ানা, কর্নাটক, পাঞ্জাব, রাজস্থান ও তামিলনাড়ু মাত্র এই পাঁচটি রাজ্যে ভ্যাকসিন সেশন হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রবিবার নবম দিনে সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত এই পাঁচ রাজ্যে ৬৯৩ টি সেশনের মাধ্যমে ৩১,৪৬৬ জনের টিকাকরণ করা হয়। এখনও পর্যন্ত দেশের ১৬,১৩,৬৬৭ জন সুবিধাভোগী করোনা ভ্যাকসিনের টিকা পেয়েছে। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিন উভয় ভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়। উভয় ভ্যাকসিন উৎপাদন হয়েছে স্থানীয়ভাবে।
জানা গিয়েছে, ভারতে যে তীব্র গতিতে টিকাকরণ করা হচ্ছে, এই গতিতে আমেরিকা–ব্রিটেনের মতো প্রথম সারির দেশও এই অবাক করা বিষয় করে উঠতে সফল হয়নি। ব্রিটেনে ১০ লক্ষ মানুষকে টিকাকরণ করার জন্য ১৮ দিন সময় লেগেছিল, আমেরিকা ১০ দিন সময় নিয়েছিল। সেখানে ভারত এত কমদিনের মধ্যে এই রেকর্ড গড়তে সক্ষম হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন টুইটে বলেন, 'খুব মসৃণভাবে টিকাকরণের কর্মসূচী চলছে। দয়া করে কেউ গুজবে কান দেবেন না। খোঁজ–খবর নিতে থাকুন আর সাবধানে থাকুন। আপনার সময় আসলে, আপনিও টিকা নেবেন।’ দেশের মোট ৩০০৬টি কেন্দ্রে এই মহাযজ্ঞ চলছে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একশো জন করে সুবিধাভোগীরা টিকা নিচ্ছেন। এই টিকাকরণ কর্মসূচীতে প্রথম অগ্রাধিকার পাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এরপরের ধাপে ফ্রন্টলাইন কর্মী ও বয়স্করা রয়েছেন। ধীরে ধীরে দেশের সমস্ত নাগরিকই টিকা নিতে পারবেন।
হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কারণে শিশুদের চোখের সমস্যা বাড়ছে, দাবি নতুন সমীক্ষার