মাত্র ১৫ বছরেরই পাশ এমএসসি, জেনে নিন বিস্ময় বালিকা সুষমা সম্পর্কে
লখনৌ, ২৪ জুলাই : জিনিয়াসদের কাছে বয়সটা কোনও বাধাই নয়, সেটা ফের একবার প্রমাণ করল লখনৌয়ের এই কিশোরী। মাত্র ৭ বছর বয়সে হাইস্কুলের গণ্ডী টপকে ১৩ বছর বয়সে স্নাতক ডিগ্রি। এবং মাত্র ১৫ বছর বয়সে মাইক্রো বায়োলজিতে উত্তীর্ণ হয়ে স্নাতকোত্তরের বাধা টপকানো। এসবই যেন বাঁ হাতের খেল লখনৌয়ের বিস্ময় বালিকা সুষমা ভার্মার কাছে।
আপাতত সুষমাই দেশের কনিষ্ঠতম স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী। এবার সে লখনৌয়ের বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে 'এনভায়রনমেন্টাল মাইক্রোবায়োলজি'-তে পিএইচডি পড়তে পড়তে গবেষণা করবে।
গত জুন মাসেই সুষমার রেজাল্ট বেরলে দেখা যায় সে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগে সে আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য়ে প্রথম হয়েছে। এমনকী বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা সংক্রান্ত প্রবেশিকা পরীক্ষাতেও সে সপ্তম স্থান অধিকার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে আপাতত তিনটি আসন রয়েছে মাইক্রোবায়োলজিতে গবেষণার জন্য। তবে সুষমার জন্য বিশেষ অনুমতি নিতে বেগ পেতে হবে না বলেই আশ্বস্ত করেছেন ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান নবীন কুমার। ফলে সুষমা গবেষণায় হাত পাকাতে পারবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুষমার পিতা তেজ বাহাদুর ওই বিশ্ববিদ্য়ালয়েরই সাফাইকর্মী ও মা গৃহবধূ। জানা গিয়েছে, সুষমা মাত্র ৫ বছর বয়সেই দশম শ্রেণির পরীক্ষায় পাশ করে এবং কনিষ্ঠতম হিসাবে 'লিমকা বুক অব রেকর্ডস'-এ নাম তোলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই পরিবারে শুধু সুষমাই নয়, তাঁর দাদা শৈলেন্দ্রও একজন বিস্ময় বালক। সেও মাত্র ১৪ বছর বয়সে স্নাতক স্তরের পরীক্ষায় পাশ করে। সুষমার মাত্র তিন বছর বয়সী বোন অনন্যা একেবারে সাবলীলভাবে রামায়ণ পড়তে পারে। সুষমা জানিয়েছে, বোন অনন্যা হিন্দি ও ইংরেজিতে পড়তে ও কবিতা আবৃত্তি করতে পারে।