মোদীকে চিঠি ১৫ বছরের কিশোরের! করোনায় নজর দিন ধর্মীয় ট্রাস্টের ৮০ শতাংশ সম্পদে
মোদীকে চিঠি ১৫ বছরের কিশোরের! করোনায় নজর দিন ধর্মীয় ট্রাস্টের ৮০ শতাংশ সম্পদে
এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখল ১৫ বছরের কিশোর। দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী সৃজনশীল ও সহানুভূতিপূর্ণ চিঠিতে মোদীকে পরামর্শ দেন এই ২১ দিনের লকডাউনে কী করা উচিত। দেরাদুনের ১৫ বছরের ছেলে ভারতবাসীর দুর্দশা ব্যাখ্যা করেন। এই দুর্দশা থেকে বের হতে ধর্মীয় ট্রাস্টগুলির সম্পদকে ব্যবহার করার আর্জি জানায় সে।
লকডাউন প্রসঙ্গে চিঠিতে পরামর্শ
বিশ্ব এখন করোনভাইরাস মহামারীর রূপ নিয়েছে। ভারতও মুক্ত নয় এই মারণ করোনা ভাইরাস থেকে। সামাজিক দূরত্ব তৈরি করে কোভিড ১৯-এর বিস্তার কমিয়ে আনতে ২১ দিনের লকডাউন জারি হয়েছে দেশে। কিন্তু এই লকডাউন ব্যবস্থাগুলি ভারতে সর্বনাশ ডেকে আনছে বলে জানায় সে। তার কথায়, ভারত একটি উন্নয়নশীল দেশ এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনবহুল দেশ। সেখানে এই ব্যবস্থা ভয়াবহ রূপ নিতে পারে।
দশম শ্রেণির ছাত্রের চিঠি মোদীকে
দেরাদুনের সেন্ট জোসেফ অ্যাকাডেমির দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অভিনবকুমার শর্মা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা চিঠিতে সে উল্লেখ করেছে, লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক, ভিক্ষুক, গৃহহীন ও দৈনিক মজুরের রাতারাতি কাজ চলে গিয়েছে। এখন কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বাড়ানো হলে তারা কীভাবে বেঁচে থাকবে?
অভিনবের পরামর্শ নরেন্দ্র মোদীকে
এই মারাত্মক বিপদের সম্ভাবনা তুলে ধরে অভিনব এক পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। সে প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মীয় ট্রাস্টের জন্য বাধ্যতামূলক করা হোক, তাদের সম্পদের ৮০ শতাংশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ারস তহবিলের জন্য দান করতে হবে। এই অর্থ যাতে করোনা আক্রাম্ত ব্যক্তির প্রয়োজনে ব্যবহার করা যায় এবং আসন্ন পরিস্থিতিতে একটু লাঘব হয় কর্মহীনদের।
ওই অর্থ ঈশ্বরের সন্তানদের বাঁচাবে
অভিনব লেখে- আমি নিশ্চিত যে ওই অর্থ ঈশ্বরের সন্তানদের বাঁচাবে। তাহলে ঈশ্বরের প্রতি মানুষের বিশ্বাস, মানবতার প্রতি আমাদের বিশ্বাস আরও বেড়ে যাবে। অভিনয়ের বাবা-মা স্বাস্থ্যসেবার কাজে নিযুক্ত। চিনে যেদিন থেকে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে করোনাভাইরাস, ক্রমে তা মহামারীর রূপ নিয়েছে, সেদিন থেকে অনুসরণ করে চলেছে অভিনব।
মোদী সরকারকে পরামর্শ কিশোরের
অভিনব আরও লিখেছে- আমাদের প্রধানমন্ত্রী পরামর্শ দিয়েছেন যে এই মুহূর্তে কেবলমাত্র সামাজিক দূরত্বই আমাদের বাঁচাতে পারে। সুতরাং এই লকডাউন আংশিকভাবে বাড়ানো হতেই পারে। সেক্ষেত্রে আরও ভাল ব্যবস্থা করা উচিত, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্থ না হন। সরকারের খেয়াল রাখা উচিত, কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন লকডাউনের জেরে।