ছত্তিশগরে ইতিহাস, বৃহন্নলা সম্প্রদায়ে প্রথম গণবিবাহ! হল গায়ে হলুদ, আশীর্বাদ, সঙ্গীতও
ছত্তিশগড়ে শনিবার রূপান্তরকামীদের জন্য সংগঠিত এক গণ-বিবাহের অনুষ্ঠানে পনেরোটি দম্পতির বিবাহ হয়েছে।
শনিবার ছত্তিশগড়ের রায়পুরে এক গণবিবাহের অনুষ্ঠানে একই সঙ্গে প্রণয়াবদ্ধ হল ১৫ জন দম্পতি। এঁদের প্রত্য়েকেই রূপান্তরকামী তথা তৃতীয় লিঙ্গের। বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের জন্য ভারতে গণ-বিবাহের উদ্যোগ এই প্রথম দেখা গেল। যেমন-তেমন করে নয়, রীতিমতো গায়ে হলুদ, মেহেন্দি, আশীর্বাদ-সহ যাবতীয় আচার অনুষ্ঠান মেনে হিন্দু ধর্ম-মতে বিবাহ করেন তাঁরা।
এই ব্যতিক্রমী গণ-বিবাহের মূল উদ্যোক্তা ছিলেন রূপান্তরকামীদের অধিকার নিয়ে কর্মরত সমাজকর্মী বিদ্যা রাজপুত। এই অনুষ্ঠানে শুধু ছত্তিশগড়েরই নন, বিবাহ করেন রাজ্যের রুপান্তরকামী দম্পতিরাও। অতিথি হিসেবে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রায়পুরের মেয়র মধু কিন্নর। তিনি নিজেও একজন রুপান্তরকামী। তাঁর মতে এই ধরণের উদ্যোগ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল।
২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্ট রুপান্তরকামীদের তৃতীয় লিঙ্গের মর্যাদা দিয়েছে। বিবাহ-সহ বেশ কিছু অধিকার পাওয়ার কারণে সরকারি উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মধু। কিন্তু এরপরেও রুপান্তরকামীদের সুখ-দুঃখ কেউ বোঝে না বলেই জানিয়েছেন তিনি। তাঁর মতে, রুপান্তরকামীরা জীবনসঙ্গী পাচ্ছেন, এর থেকে আনন্দের কিছু হয় না। ভবিষ্যতে এই ধরণের গণবিবাহ আরও অনুষ্ঠিত হোক, এটাই চাইছেন মধু কিন্নর ও বৃহন্নলা সম্প্রদায়।