ব্যাপক প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া, হারলেন সিদ্দারামাইয়া মন্ত্রিসভার এই পনেরো মন্ত্রী
সিদ্দারামাইয়া মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য এই নির্বাচনে হেরেছেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট পড়েছে।
শেষ পর্যন্ত জনতা দল (সেকুলার)-এর সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়তে পারবে কিনা কংগ্রেস, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে কর্ণাটকের মানুষ যে পরিবর্তন চেয়েছিলেন সেটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। কর্ণাটকের ইতিহাস বলছে এখানে পর পর দু'বার কেউই সরকার গড়তে পারেননি। মানুষ যে সিদ্দারামাইয়া সরকারের বদল চেয়েছিলেন তা আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে একার পর এক তাঁর মন্ত্রিসভার মন্ত্রীদের হারে। একজন দুজন নয়, মন্ত্রিসভার ১৫ জন সদস্য এবারের নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।
ভোট বিশ্লেষকদের দাবি, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রতিষ্ঠান বিরোধী ভোট পড়েছে। এই ১৫ জন হলেন, রামনাথ রাই, এইচ.এম. রেভান্না, কাগদু থিম্মাপ্পা, সন্তোষ লাদ, উমাশ্রী, বিনয় কুলকার্নি, এইচ.সি. মহাদেবাপ্পা, শরণ প্রকাশ পাতিল, এস.এস. মল্লিকার্জুন, এইচ আনজানেয়া, এ মঞ্জু, টি.বি. জয়চন্দ্র, বাসবরাজ রায়ারেড্ডি, প্রমোদ মধ্বরাজ ও রুদ্রাপ্পা লামানি।
এইচ এম আনজানেয়ার মতো অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। এমনকী ভোটের দিনও টুইটারে তা নিয়ে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতারা। এছাড়া অনেকেই লিঙ্গায়েত আন্দোলনের পুরোভাগেও ছিলেন। ফল প্রকাশের পর লিঙ্গায়েত আন্দোলন কংগ্রেসের জন্য 'ব্যাকফায়ার' করেছে বলে দাবি করেছেন অনেক বিজেপি নেতা।