রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টে ১৫ সদস্য, সম্ভাব্য চেয়ারম্যান হবেন কে পরাসরণ
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামম্দির নিয়ে স্বাধীন ট্রাস্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এর ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যায় এই ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। যাঁদের মধ্যে ৯ জন হবেন
বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যায় রামম্দির নিয়ে স্বাধীন ট্রাস্ট তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এর ঘোষণার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যায় এই ট্রাস্টে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। যাঁদের মধ্যে ৯ জন হবেন স্থায়ী এবং ৬ জনকে মনোনীত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী বুধবার লোকসভাতেই জানিয়ে দেন, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত মতো শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট তৈরি করা হবে।
চেয়ারম্যান হবেন কে পরাসরণ
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হবেন কে পরাসরণ। আর আহ্বায়ক সদস্য হবেন অযোধ্যার জেলাশাসক অনুজ কুমার ঝা। অন্য সাত স্থায়ী সদস্য হলেন, শঙ্করাচার্য বাসুদেবানন্দ মহারাজ, পরমানন্দজি মহারাজা হরিদ্বার, স্বামী গোবিন্দগিরিজি পুনে, বিমলেন্দ্র মোহন প্রতাপ মিশ্র, ড. অনিল মিশ্র হোমিওপ্যাথিক অযোধ্যা, ড. কমলেশ্বর চাউপল পটনা এবং মহান্ত ধীনেন্দ্র দাস নির্মোহী আখড়া। মনোনীত সদস্যদের ঠিক করবে ট্রাস্টি বোর্ড।
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের কাজ
- শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের বিভিন্ন কাজ রয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল
- অযোধ্যায় ভগবান রামের মন্দির তৈরি করা
- মন্দির তৈরি করতে সব বাধা দূর করা
- রামমন্দির কমপ্লেক্টে পার্কিং তৈরি করা, পূণ্যার্থীদের জন্য সবধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা
- রামমন্দির কমপ্লেক্সে গরুর জন্য আশ্রয়স্থল, মিউজিয়াম তৈরি করা
ট্রাস্টের সদস্যদের কাজ
- চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতেই ট্রাস্টের সব বৈঠক করতে হবে।
- জেনারেল সেক্রেটারি সব বৈঠক ডাকবেন। ট্রাস্টের সব রেকর্ড রাখার দায়িত্ব তাঁর ওপরে থাকবে। ট্রাস্টের সদস্যরা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করবেন
- সদস্যরা নিজেদের মধ্যে থেকে ট্রেজারার নির্বাচিত করবেন। ফান্ডের সব হিসেব রাখার দায়িত্ব দেওয়া হবে তাঁর ওপরেই।
সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা
শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট অযোধ্যায় রামমন্দির তৈরির জন্য সবরকমের সিদ্ধান্ত নেবে বলে সংসদে জানিয়ছেন প্রধানমন্ত্রী। ট্রাস্ট গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বুধবারের ক্যাবিনেট বৈঠকে। ৬৭.৭০৩ একর জমি রামমন্দির তৈরির জন্য শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের হাতে তুলে দেওয়া হবে। ট্রাস্টের অফিস হবে দিল্লিতে। ট্রাস্টের রেজিস্টার্ড অফিস হবে আর-২০, গ্রেটার কৈলাস, পার্ট ১, নতুন দিল্লি-তে।