আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ১৬ জনের ১৫ জনই ভারতের পক্ষে, কুলভূষণ-কাণ্ডে সার্বিক জয়
কূলভূষণ মামলায় নৈতিক জয় পেল ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতে এই সার্বিক জয়ের পথে ১৬ জন বিচারপতির মধ্যে ১৫ জনই রায় দেন ভারত পক্ষে।
কূলভূষণ মামলায় নৈতিক জয় পেল ভারত। আন্তর্জাতিক আদালতে এই সার্বিক জয়ের পথে ১৬ জন বিচারপতির মধ্যে ১৫ জনই রায় দেন ভারত পক্ষে। একমাত্র পাকিস্তানের বিচারপতি তাসাদক হুসেন জিলানী রায় দিয়েছেন পাকিস্তানের পক্ষে। এদিনের রায়ে, কুলভূষণের মৃত্যুদণ্ড খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে।
ভারতের পক্ষ থেকে বার বারই কুলভূষণের জন্য কনস্যুলার অ্যাকসেস চাওয়া হয়েছিল পাকিস্তানের কাছে। পাকিস্তান প্রত্যুত্তরে গুপ্তচরদের ক্ষেত্রে ভিয়েনা কনভেনশন অনুযায়ী কনসুলার অ্যাক্সেস দেওয়া হয়। কিন্তু এদিন বিচারপতিরা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এই রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, পাকিস্তান ভিয়েনা কনভেশন ভেঙেছে।
ফলে এই মুহূর্তে পাকিস্তান কুলুভূষণকে ফাঁসি দিতে পারবে না। আপাতত পাক আদালতের মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশে স্থগিতাদেশ পড়েছে। পাশাপাশি ভারত যে বারবার কনসুলার অ্যাক্সেস চেয়েছিল, তা পাকিস্তানের দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন বিচারপতিরা।
ভারতের প্রাক্তন নৌসেনা অফিসার কুলভূষণকে বালুচিস্তান থেকে ২০১৬ সালের ৩ মার্চ গ্রেফতার করে পাক নিরাপত্তা বাহিনী। কুলভূষণের বিরুদ্ধে পাক সামরিক আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ভারত আন্তর্জাতির ন্যায় বিচার আদালতের দ্বারস্থ হয়। ২০১৭ সালের এপ্রিলে পাক সামরিক আদালত কুলভূষণকে ফাঁসির সাজা দেয়।
পাকিস্তানের দাবি ছিল, ইরান থেকে বালুচিস্তান হয়ে ঢুকে পড়েছিলেন কুলভূষণ। তিনি আদতে ভারতের গুপ্তচর। কুলভূষণের সাথে সাক্ষাৎ করতে গেলেও কুলভূষণের স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে পাকিস্তান। ভারত সেই ঘটনার নিন্দায় মুখর হয়েছিল।