লাদাখ নিয়ে ফের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক, ভারতের নেতৃত্বে বঙ্গ সন্তান লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত
লাদাখ ইস্যুতে ফের চিনের মুখোমুখি ভারত। এই নিয়ে ১৪ তম উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে দুই দেশের সেনাবাহিনী। তবে এবারের বৈঠকে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভারতীয় সেনার নেতৃত্বে রয়েছে বাঙালি তরুণ কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। তাঁর নেতৃত্বেই চলছে বৈঠক। বঙ্গতনয়ের রণকৌশলে কী মাত হবে ড্রাগন বাহিনী এই নিয়ে পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে।
ফের ভারত-চিন বৈঠক
লাদাখ সংকট ১ জানুয়ারি থেকে যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা ওড়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। সেই আবহেই ফের মুখোমুখি দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিরা। কর্পস কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠকে বসেছে দুই দেশ। এই নিয়ে ১৪ তম বৈঠক হচ্ছে। ২০২২ সালে এটাই প্রথম ভারত-চিন বৈঠক। এর আগে ১৩ বার বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতে মেলেনি তেমন সমাধানসূত্র। বারবারই ব্যর্থ হয়েছে বৈঠক। দুই দেশই নিজেদের অবস্থানে অনড় থেকেছে।
বৈঠকের নেতৃত্বে বঙ্গসন্তান
এবারে ভারত চিন বৈঠকের নেতৃত্বে রয়েছেন বঙ্গ সন্তান। কর্পস কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। তাঁর নেতৃত্বেই শুরু হয়েছে বৈঠক। বঙ্গ সন্তানের রণকৌশলে ড্রাগন বাহিনী পরাস্ত হয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে কূটনৈতিক মহল। চুশুল-মল্ডো সীমান্তে বসেছে দুই দেশের সেনা প্রতিনিধিরা। অনিন্দ্য সেনগুপ্ত খুব সম্প্রতি লাদাখে ১৪ নম্বর ব্যাটেলিয়নের দায়িত্বে এসেছেন। অন্যদিকে চিনা ফৌজের নেতৃত্বে রয়েছেন সাইথ শিনঝাং মিলিটারি জেলার চিফ মেজর জেনারেল ইয়াং লিন।
বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় কী
এবারের বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় লাদাখের হট স্প্রিং এলাকা থেকে সেনা সরানো। দুই দেশই যােত নিরাপদ দূরত্বে সেনা সরিয়ে নেয় সেই নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। ডেমচকের একাধিক হটস্প্রিং এলাকায় চিনা বাহিনী অনেকটাই এগিয়ে এসেছে বলে দাবি ভারতীয় সেনার। সেখান থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরে যেতে হবে চিনা ফৌজকে এমনই প্রস্তাব রেখেছে ভারতীয় সেনা। গত ১০ অক্টোবর বসেছিল ১৩ তম বৈঠক। কিন্তু তাতেও মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র তাই ১৪ তম বৈঠকের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে দুই দেশ।
সীমান্তে চিনা আগ্রাসন
২০২১ সালের শেষ থেকে এর লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে একাধিক জায়গায় আগ্রাসন শুরু করেছে চিনা ফৌজ। মার্কিন প্রতিরক্ষা সংস্থা পেন্টাগনের তরফ থেকে স্যাটালাইট ফুটেজ দেখিয়ে দাবি করা হয়েছিল অরুণাচল প্রদেের প্রায় ১০টি গ্রাম দখল করে ফেলেছে চিন। যদিও সেটা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক। ভারতের এক ইঞ্জি জমিতেও চিন পা রাখতে পারেনি বলে দাবি করা হয়েছে। বছরের শুরুতেই গালওয়ান উপত্যকায় চিনের পতাকা ওড়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়া নিয়ে তোলপাড় হয়েছে রাজনৈতিক মহল।