গণধর্ষণ করে খুন! হাত-পা বেঁধে দেহ লোপাট করে ফেলা হয় বস্তার মধ্যে
ফের নারকীয় ঘটনা রাজধানীতে। দিল্লির নারেলায় উদ্ধার হল এক কিশোরীর পচা-গলা দেহ। ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ধর্ষণের অভিযোগ দুজনের বিরুদ্ধে। একটি ব্যাগের মধ্যে মুড়ে ফেলে রাখা
ফের নারকীয় ঘটনা রাজধানীতে। দিল্লির নারেলায় উদ্ধার হল এক কিশোরীর পচা-গলা দেহ। ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। ধর্ষণের অভিযোগ দুজনের বিরুদ্ধে। একটি ব্যাগের মধ্যে মুড়ে ফেলে রাখা হয়েছিল ওই কিশোরীর দেহ। এমনটাই জানা যাচ্ছে। আর এই ঘটনায় ফের একবার প্রশ্নের মুখে মহিলা নিরাপত্তা। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও।
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, বাকিদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। দিল্লি ও উত্তর প্রদেশ জুড়ে চলছে তল্লাশি। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। যদিও বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের তরফে।
আউটার দিল্লির ডিসিপি ব্রিজেন্দ্র কুমার যাদব জানিয়েছেন, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ওই কিশোরীর বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তাঁর বাবা অভিযোগে জানিয়েছিলেন, অজ্ঞাতপরিচয় কিছু ব্যক্তি তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছে। এরপরই ওই কিশোরীর খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ।
একদিকে যখন ওই কিশোরীকে পুলিশ খুঁজছে, তখন একটি ফোন আসে পুলিশের কাছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১ টা নাগাদ সেই ফোন আসে। রাহুল রাই নামে এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, তাঁর দোকানের ভিতর থেকে দুর্গন্ধ আসছে। তিনি আরও জানান, তাঁর দোকানেরই এক কর্মী নিখোঁজ। ঝাঁসি থেকে ফিরে যখন দোকান খোলেন, তখন জানতে পারেন, তাঁর দোকানের ওই কর্মীকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছে না।
পুলিশ ওই দোকানে তল্লাশি চালাতে গিয়ে দেখে, সেখানে বস্তার ভিতর পড়ে রয়েছে পচা গলা দেহ। বস্তার ওপর চাপা দেওয়া রয়েছে গোবর। সঙ্গে সঙ্গে সেই দেহ উদ্ধার করে পুলিশ হাসপাতালে মর্গে নিয়ে যায়। এরপরই পুলিশ জোর তল্লাশি শুরু করে। সানোথ গ্রাম থেকে ওই দিন রাতেই এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি থেকে মুম্বই পালানোর সময়, তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেরায় ওই ব্যক্তি জানিয়েছেন, রাহুল রাই -এর দোকানের কর্মী ও তিনি একসঙ্গে মদ্যপান করেছিলেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধেয় মদ্যপান করার পর ওই কিশোরীকে তাঁরা রাহুলের দোকানে ডাকেন। কাজ দেওয়ার জন্য নামে ডাকা হয়েছিল ওই কিশোরীকে। এরপরই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে কার্যত জেরায় স্বীকার করে নিয়েছেন অভিযুক্ত। এরপর কিশোরীকে মেরে, হাত- পা বেঁধে বস্তার মধ্যে রেখে দেওয়া হয়। দিল্লির সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বাকিদের খোঁজে।